পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

এখানে আড়াই শত বন্দী ছিল এবং অবশিষ্ট সকলেই কর্ম্মচারী। কর্ম্মচারীগণ সকলেই জাতীয় বাহিনীর সদস্য ছিলেন। বন্দী ও কর্ম্মচারী ছাড়া সেখানে আর কেহই ছিল না। যাহারা স্বেচ্ছাসেবক হয় নাই। “বন্দী” বলিতে তিনি তাহাদিগকেই বুঝাইতেছেন! আড়াইশত বন্দীর মধ্যে তিনি দশ বার জনকে চিনিতেন। তিনি যাহাদিগকে চিনিতেন তাহাদের নাম হইতেছে লেঃ পুরুষোত্তম দাস, সুবেদার আমেদ খান, জমাদার সার্ভার খান, জমাদার ফকির মহম্মদ, জমাদার গুলাম মহম্মদ, জমাদর মহম্মদ শরিফ, জমাদার আল্লাবক্স, সুবেদার শের মহম্মদ, সুবেদার মেজর হরি সিং, হাবিলদার মহম্মদ খান এবং হাবিলদার চানান সা।

 প্রঃ—অন্য কাহাকেও কি আপনি চেনেন না?

 উঃ—না।

 প্রঃ—বিশেষ বিবেচনার পর আপনি প্রশ্নের উত্তর দিবেন। ১৩ই সেপ্টেম্বর পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের সুবেদার আমেদ খানকে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কি?

 উঃ—তাহাকে বন্দীনিবাসে লইয়া যাওয়া হয় কিন্তু কি অভিযোগে তাহাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহা আমি জানি না।

 প্রঃ—আপনি যাহাদের নাম করিলেন তাহাদিগকে চুরি অথবা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হইয়াছিল। ইহাই কি সত্য?

 উঃ—না, তাহাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল না।

 শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই আদালতকে জানান যে, তাহাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ ছিল ইহা প্রমাণ করার জন্যই তিনি সাক্ষীকে এই সমস্ত প্রশ্ন করিতেছেন ৷

 প্রঃ—সুবেদার আমেদগণি কি আপনার বন্ধু ছিলেন?

 উঃ—তিনি আমার ব্যাটালিয়ানের অন্তর্গত ছিলেন।