পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्व। श्र • ब्र ७ डी अ ब्र का एgां छे কৈলাস বলল, “কী করি বলুন, উপায় কি ? “আপনার মন বড় ছোট ।” . “তা বটে। একজনের তিনটে টাকা বলে উদারতা দেখালেন, ওরকম দু’শো চারশো হলে করতেন। কি ? এখনও প্রায় তিনশ লোক আমার কাছে টাকা ধারে ।” “আমি হলে চাইতে পারতাম না—দান করে দিতাম।” “কবার দিতেন ? দু’দশ টাকা দিলেই যদি চিরকালের জন্যে ওদের অভাব মিটে যেত। তবে আর ভাবনা ছিল না! ফাকে তালে কিছু লাভ করার সুযোগ পেলে বরং ওদের স্বভাবটাই বিগড়ে যেত । ওদের আপনি জানেন না। নিজের যার রোজগার নেই। অন্যে তার কী করবে, কতকাল করবে ? দেশে কি গরীবের সংখ্যা আছে।” “তাই বলে চুপ করে বসে থাকবেন ? কৈলাস হাসল।—“বসে আছিল? সারাদিন তো খাটছি, মশায়। অতবড় একটা সংসার ঘাড়ে কতকাল ধরে কত খেটে খুটে তবে না। আজ অবস্থাটা একটু স্বচ্ছল করেছি। ক্ষমতা তো তেমন নেই, কী আর হবে ! কত লোক বসে বসে লাখপতি হয়, আমি জীবন পাত করে যা করলাম ছোট একটা বড়ী করতেই ফতুরা-তাও ঘরে কুলোয় না। ওদের অবস্থা দেখে প্রাণ কি কঁদে না মশায় ? কখন কি সাধ যায় না। এর তিনটে টাকা, ওর পাঁচটা টাকা ছেড়ে দি ? তারপর ভাবি তাতে আর লাভটা কী হবে । মাঝখান থেকে আর দশজনের কাছে আদায় করার সুখ থাকবে না। হঠাৎ কারও বিপদ আপদ ঘটিল, পাঁচটা টাকা শোধ দিতে উপোস করার অবস্থা হ’ল—তার কথা