পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रां च र भी ढां क ख़ “আজ্ঞে বাবু । তোমার দয়া ।” “তাই বুঝি বলে বেড়াচ্ছিস আমার কারবারের ব্যাপার দশজনকে ? তোকে বিশ্বোস করলাম, তুই শেষে নেমকহারামি করলি রঘু ? দশ কুঁড়ের গা যেন জনহীন-কুকুর। পর্যন্ত ডাকে না। পথের পাশে জলায় শালুক ফুটেছে আগুস্তি—দু’মাস আগে পর্য্যন্ত এই শালুকের ফসল তুলে প্রাণ বঁচিয়েছে এই বস্তি-গাগুলির স্ত্রীপুরুষঅবশ্য সবাই নয়। বুক ফুলিয়ে দাড়াতে গিয়ে প্রায় পিছনে হেলে যায় রাঘব, আবেগের ভারে ভারাক্রান্ত গলায় বলে, 'নেমকহারামি ঠাকুরবাৰু ? বলছ নেমকহারামি ? হাটে সেদিন সভা করে স্বদেশীবাবুরা বললে, যে যা জানো থানায় বলবে। বলিছি থানায় ? থানায় মোরা বলতে যাই নি। ঠাকুরবাবু ভালোমন্দ। যা বলি তাতেই গুতো । বলাবলি করেছি। নিজেদের মধ্যে । তোমার তাতে কি ?” নে নে মোট তোলা।” “গৌতম বলে খুলী হয়ে, “চটস কেন ? আটআনা বেশী পাবি আজ, যা ।” রাঘব নিঃশব্দে বেঁচেকা মাথায় তুলে নেয়, গৌতমের সাহায্যে। গৌতম তাকে ছেদো দর্শনের কথা শোনায়, যে কথা শুনিয়ে শুনিয়ে মেরে রাখা হয়েছে কোটি গৌতমকে বহুকাল ধরে : কি ভাবে ভালো থেকে মরলে লাভ আর কি ভাবে খারাপ হয়ে বঁাচলে লোকসান। তেজী গলায় গৌতম কথা কয়। শুনে গলা বন্ধ হয়ে আসে রাঘবের। মন তার মাথা কুটে বলে, হায় কি করিছি, হায় কি করিছি। পরের গায়ে রাঘবের ঘর, ফুলবাড়ী আর মালদিয়ার প্রায় মাঝামাঝি। এটাকে মোটামুটি গা বলা যায়। খান ক্রিসেক ঘর আছে, O)