পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°t百夺廿可叶可°可引研 আসল পথের সমান চওড়া পথ আছে গা পর্য্যন্ত সাত আট রাশি, নামও আছে গাঁয়ের-পত্তি। এইটুকু এসে রাঘব বেঁচেকা নামিয়ে রাখে। আঙ্গুল দিয়ে শুধু কপালের ঘাম ঝেড়ে ফেলে খ্যান্ত হয় না, বেঁচেকার ওপর চেপে বসে বেশ আনন্দ অন্তরঙ্গতার সুরে বলে, “একটা বিড়ি দেন গো ঠাকুরবাবু!” সাত আট রশি দূরে খান ত্রিশোক ঘরের নামওয়ালা বস্তি-ৰ্গা, এটাও যেন খানিক আগের দশ-কুঁড়ে গা-টার মতো নিঃশব্দ, জনহীন, মৃত । উলঙ্গ ছেলেমেয়ে পর্য্যন্ত ছুটে আসে না পয়সা ভিক্ষা করতে, পথ দিয়ে পথিক কেউ যাচ্ছে কি যাচ্ছে না। তাতে যেন কিছু এসে যায় না তাদের। পত্ত, গাঁয়ের দক্ষিণে ঘন জঙ্গল, নীচু জমিতে বছরে ছ’মাস বর্ষার জল জমে থাকলে শোভাহীন বর্ণহীন বীভৎস জলজ জঙ্গল জন্মে। ঝিল্লীর ডাকে সন্ধ্যার স্তব্ধতা, অন্ধকার রাত্রির ইঙ্গিত, এখনো সন্ধ্যা নামে নি। বাইরে সন্ধ্যা না নামলেও ঘরগুলির ভিতরে যে গাঢ় অন্ধকার ঘনিয়েছে রাঘব তা জানে! গৌতমও জানে। এ অঞ্চলেরই মানুষ তো সে। রাঘবকে ধমক দিতে গিয়ে হঠাৎ শিশুর কান্না কানে আসায় গৌতম চমকে উঠে থেমে যায়। কে যেন চাপা। দিয়েছে শিশুটির মুখে। গা ছমছম করে গৌতমের। এই জলাজঙ্গল, কুঁড়ে পথ আর এই গামছা-পরা মানুষ এসব পুরনো সবকিছু যেন নতুন নতুন মনে হয়, গায়ের শব্দহীন স্তব্ধতায়, মানুষের সদৃশ্যতায়, শিশুর কান্নার মুখ-চাপায়, বেঁচেকায় বসবার ভঙ্গিতে। রাঘবকে সে বিড়ি দেয়। নিজে বিড়ি ধরাবার আগেই রাঘবকে দেয়। বলে, ‘টেনে নিয়ে চটপট চল বাবা, পা চালিয়ে বাকী পথটা .9SCR