পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যা কে ঘুষ দিতে হয় গাড়ী চলছে। আস্তে আস্তে গড়িয়ে চলছে । আরেকখানা গাড়ী, দামী। কিন্তু পুরনো, পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে খানিক এগিয়ে স্পিড কমিয়ে প্রায় থেমে গেল। মাখনের গাড়ী কাছে গেলে পাশাপাশি চলতে লাগল দাস সাহেবের গাড়ীটা । “কোথায় চলেছেন ?” “একটু ঘুরতে বেরিয়েছি।” দাস সাহেবের দৃষ্টি তার মুখে বুকে কোমরে চলা-ফিরা করছে টের পায় সুশীলা । অন্দর থেকে উকি দিয়ে বৈঠকখানায় দাস সাহেবকে সে অনেকবার দেখেছে। লজ্জায় তার সর্বাঙ্গ কুচকে যায়। এই মহাপুরুষটি তার স্বামীকে ট্রামে ঝোলার অবস্থা থেকে এই দামী মোটরে চড়ার অবস্থায় এনেছেন । শ্বশুর ভাসুর ইত্যাদি গুরুজনের চেয়েও ইনি গুরুজন । ইনি দেবতার সামিল । “আপনার স্ত্রী ?” 'डांडव ।” দাস সাহেবের প্রশ্নের মানে মাখন বোঝে। তার মতো হঠাৎ লাখপতি কয়েকজনকে সে জানে, যারা মোটর হাকায় শুধু বাজারের স্ত্রীলোক নিয়ে—বাড়ীর স্ত্রী বাড়ীতেই থাকে। সুশীলা ভাবে, তাতে আর আশ্চর্য্য কি ৷ যে-রকম উনি বুড়িয়ে গেছেন। অল্পদিনে ! ওঁর কাছে আমাকে নেহাৎ কচিই দেখায়। দুটি গাড়ীই ততক্ষণে থেমেছে। পিছনে অন্য গাড়ীর হন সুরু করেছে। অভদ্র আওয়াজ । দাস সাহেব নেমে এ গাড়ীতে এসে ওঠে। ড্রাইভারকে বলে। দেওয়া হয় এ গাড়ীর পিছনে আসতে ৷ দাস সাহেব ভেতরে ঢোকা S8)