পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যা কে ঘুষ দিতে হয় করছিল-প্রকাণ্ড কনট্রাক্ট, লাখ টাকার ওপর ঘরে আসবে। দাস যেন কেমন আমল দিচ্ছিল না। তাকে, কথা তুললে এড়িয়ে এড়িয়ে, যাচ্ছিল। ঈশ্বরীপ্রসাদকে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করতে দেখে আর তার সঙ্গে দাসের দহরম মহরম দেখে ব্যাপার অনেকটা অনুমান করে নিয়ে আশা এক রকম মাখন ছেড়ে দিয়েছিল । দাস আজ ও-বিষয়েই তার সঙ্গে কথা কইতে চায় ! এই দরকারে তাকে দাস খুজছিল। সন্ত্রান্ত সহরতলীতে দাসের মস্ত বাড়ী। সামনে সম্রান্ত বাগান। অনেকগুলি চাকর-খানসামা নিয়ে এত বড় বাড়ীতে দাস একা থাকে। বিয়ে করেনি, বৌ নেই। আত্মীয়স্বজনদের সে সাহায্য করে কিন্তু কাছে রাখে না। সখা হলে মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গ উপভোগ করে। দু’চারদিনের জন্য, ছুটি ভোগ করার মতো । যেই আসুক সাহেব বাড়ী নেই বলে দরজা থেকে বিদায় করে। দেবার হুকুম জারি করে দাস তাদের ভেতরে নিয়ে বসায়। ঘরের সাজসজা আর আসবাবপত্র তাকিয়ে তাকিয়ে দ্যাখে সুশীলা, নিজেকে বাড়ীতে এখানকার কোন বিশেষত্ব আমদানী করবে মনে মনে স্থির করে। তারপর আসে চা ৷ একথা হতে হতে আসে কনট্রাক্টের কথা । সুশীলার সামনেই আলোচনা চলতে থাকে, গভীর আগ্রহের সঙ্গে সে সব কথা শোনবার ও বোঝবার চেষ্টা করে, উত্তেজনায় তার বুকের মধ্যে চিপ চিপ করে। মাখনের সঙ্গে আলোচনা আরম্ভ হবার পর সুশীলার দিকে দাসের বিশেষ মনোযোগ দেখা যায় না, কথাতেই তাকে মাসগুল মনে হয় । বাইরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। ঘরে আলো জ্বলে স্নিগ্ধ ৷ O