পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আ জ কা ল প র শু র গ ল্প

দৈহিক মৃত্যু ঘটানোর মতো লোকে যদি তার বৌয়ের নৈতিক মৃত্যু ঘটিয়েই থাকে, ওকে সে সম্ভাবনার কথা জানিয়ে লাভ নেই। বৌ হিসাবে ওর বৌয়ের মরণ হয়েছে, মনের এমন রোগ হয়েছে যা চিকিৎসার বাইরে অথবা চিকিৎসা করে সুস্থ করে তাকে আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব মানুষের জগতে, সেটা আগে জানা দরকার।

‘চেষ্টা করে দেখি কি হয়।’ বলে সহানুভূতির আবেগে বনমালীর হাতটা শঙ্কর চেপে ধরে হাতের মধ্যে, কলেজের বন্ধুর হাত যেমন ভাবে চেপে ধরত।


সিকিখানা চাঁদের আলো ছাড়া মানসুকিয়া অন্ধকার সন্ধ্যা থেকে। বেলতলার ভুতের ভয়-বছরখানেক বছর-দুই আগেও খুব প্রবল ছিল। আজ-কাল বেলতলার ভূতের ভয়ের প্রসঙ্গই যেন লোপ পেতে বসেছে মানসুকিয়ায়। এই বেলতলায় দাঁড়িয়ে গিরি বলে ঘনশ্যামকে, ‘তুমি যদি না বলতে ব্যাপারটা চাপা দিতে-’

ঘনশ্যাম বলে, ‘চোখ-কান নেই? দ্যাখোনি, আমি কি বলি না বলি তাতে কী আসতে যেত? আমি শুধু নিজের অবস্থাটা সামলে নিলাম লোকের মন বুঝে।’

গিরির বাড়ী বেলতলার কাছেই। বেলতলায় সে ভয় পায়নি, বাড়ী যেতে পথের পাশে নালার ওপর তালের পুলটার মাথায় একটা মানুষকে বসে থাকতে দেখে তার বুক কেঁপে যায়।

‘কে গা?’

‘আমি গা গিরি, আমি।’

২২