পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃ শাসনীয় এক-ফেরত কাপড় জড়িয়ে মানুষের সামনে সে বার হয়নি কোন দিন। পায়খানার চটের পর্দাটা গায়ে জড়িয়ে নিজেকে তার বিবসনা মনে হচ্ছে। কাপড় যদি নেই, ঘোষ বাবুর বাড়ীর মেয়ারা এবেলা ওবেলা রঙীন শাড়ী বদলে নিয়ে পরে কী করে, আজিজ সায়েবের বাড়ীর মেয়েরা চুমকি বসানো হালকা শাড়ীর তলার মােটা আবরণ পায় কোথায় ? সবাই পায়, পীয় না। শুধু তার স্বামী । আল্লা, এ কোন মরদের হাতে 6न °iggछिल ! রাত্রের ছায়ামূর্ত্তি হয়ে রাবেয়া গিয়ে দেখে আমিনা জ্বরে শয্যাগত হয়ে পড়ে আছে, তার গায়ে দুটো বস্তা চাপানো চুণের বস্তা। বস্তার নিচেই আমিনার গায়ের চামড়া জ্বরে যেন পুড়ে যাচ্ছে। আমিনা বলে ফিসফিসিয়ে, “গা জ্বলছে-পুড়ে যাচ্ছে! আজি ঠিক মন্ত্রব। এ বস্তা মুড়ে কবর দূেবে মােকে ৷” আবদুল আজিজ আর সুরেন ঘোষ হাতিপুরের একুশ শ’ চাষী ও কামার কুমার জেলে জোলা তীতি আর আড়াইশ’ ভদ্র স্ত্রীপুরুষের কাপড় যোগাবার দায়িত্ব কঁাধে নিয়েছে। মাস দেড়েক আগে উলঙ্গ হাতিপুর সোজাসুজি সদরে গিয়ে মহকুমা হাকিম গোবৰ্দ্ধন চাকলাদারকে লজ্জিত করেছিল। এভাবে সিধে আক্রমণের উস্কানি যুগিয়েছিল শরৎ হালদারের মেজ ছেলে বঙ্ক, আর তার সতের জন সাঙ্গাপাঙ্গ। সতের মাইল দূরে স্বদেশ সেবক তপনবাবুর কাপড়ের কল কয়লার অভাবে আচল হয়েও সাড়ে তিনশ’ তাত কী করে সচল আছে আর খালি গুদামে কেন অনেক শ’ গাঁট ধুতি শাড়ী জমে আছে, এসব তথ্য VOS