পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আ জা কা লা প র শু। র গ প্ল জোতদার কানায়ের বাড়ীর কাছে এসে কান্নার আওয়াজ শুনে গোপাল থমকে দাড়িয়ে গেল। গাঁয়ে পা দেবার পর এই কান্নার শব্দে যেন তার নিজস্ব একটা অদ্ভত স্তব্ধতার আবেষ্টনী ভেঙ্গে পড়ল এতক্ষণে, বেলা যখন খতম হয়ে এসেছে। এখন তার খেয়াল হল, গায়ের এতগুলি নারীপুরুষের বুকভরা শোক কান্নায় রূপ পায়নি, কান্না সে শোনেনি গাঁয়ে এসে। মৃত্যুপুরীর নীরবতাকে এতক্ষণ সে অনুভব করেছে কিন্তু কতগুলি জীবন্ত কঙ্কাল চোখে পড়ায় সে অনুভূতিকে বুঝতে পারেনি। অথচ এ অনুভূতি তার কত চেনা ! কতবার জনহীন শ্মশানে তার হৃদয় মন এ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে । দাওয়ায় বসে কানাই আকাশ বাতাসকে শুনিয়ে অদৃষ্টকে শাপ দিচ্ছিল! গোপাল প্রণাম না করায়চােট গেলেও শ্রোতা পাওয়ায় সে খুসী হল। তার ছেলের আজ ফিট হয়েছে। দু’বছরে তেরো হাজার টাকা উপায় করেছে এমন সোনার চাদ ছেলে। কোন বিশেষ অপদেবতা বা অপদেবী নজর দিয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু কেন এই নজর দেওয়া, এত ধম্মে কম্মো পূজা অৰ্চনা করার পর ! “দু’বচ্ছর চব্বিশ ঘণ্টা ভয়ে ভাবনায় দিন কাটাবার জন্যে হবে বা ? শশী একটু ভয় কাতুরে বটে তো।” “কিসের ভয় ভাবনা ? সবিস্ময়ে কানাই শুধোয়। “এই ধরা টরা পড়ে জেলে যাবার ভয় । চোরাই কারবারে ভয় CVO VINCg ”