পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

म अ ब् ‘বটে’ ?” কানাই আর বলাই-এর মুখ হঁা হয়ে যায়। “সাহস কী, মাগো ! গায়ে এল ?” মঙ্গলা বলে। “খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল।” “ধরেছে নাকি ? রুদ্ধশ্বাসে প্রশ্ন করে তিনজনে । অধর মাথা নাড়ে - না । পালিয়ে গেল। কী করে পালাল ভগবান জানে, চাদিকে ঘিরে ফেলেছিল ।” অধরের চোখ প্রায় বুজে আসে, মৃদু ক্ষোভ আর আপশোষের সুরে বলে, “পুলিশ এবার বলবে, গায়ের লোক ওদের লুকিয়ে রাখছে, সাহায্য করছে। ফের তল্লাসী চলবে নতুন করে, জিজ্ঞাসা বাদ সুরু হবে, চষে ফেলবে গাটাকে । দ্যাখ দিকি বাপু, তোদের কাজনার জন্যে গা শুদ্ধ, লোকের কি দুর্ভোগ ? নিজের মা বোন বাপ ভায়ের কথাটাও ভাববিনে তোরা ? মঙ্গলা থাতমত খেয়ে যায়। কথাটা তো ঠিক বলেছে হাড়হাবাতে বজাত বুড়ো ! বজাত ? আজ প্রথম মঙ্গলার খেয়াল হয়। গায়ের প্রায় সব লোক কতকাল অধরকে মনে মনে বজাত বলে জেনে রেখেছে তার হিসেব হয় না, অথচ ওর কোন বজাতির খবর তো তারা রাখে না ! সে নিজেও মনেমনে লোকটাকে কত খারাপ বলে জেনে এসেছে চিরকাল, অথচ চিরদিন সাধু, ভদ্র, পরোপকারী বিবেচক মানুষ যেন সে এমনি ব্যবহারই করে এসেছে তার সঙ্গে ৷৷ ও কেন খারাপ, কোন বিষয়ে অসাধু, অভদ্র, অনিষ্টকারী বা অবিবেচক তাতো সে কিছুই জানে না। কিছুদিন থেকে একটু বেশী যাতায়াত আর ঘনিষ্ঠতার চেষ্টা করায় মনে হয়েছিল, বুড়ো বুঝি মাজেছে। বয়স কঁচা না থাক, যৌবন যা Ve