পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নে শা রয়েছে জগতে ! এরকম আশ্চর্য্য হওয়ার মধ্যে নিজেদের বেশ বস্তু তান্ত্রিক ভাবপ্রবণতাহীন মনে হয় বলে খুব তারা গর্ব অনুভব করে ! তারপর জীবন আসে। পরবর্তী বাস্তব অধ্যায়ের নিয়ম, অনিয়ম, প্রয়োজন আর ঘাতপ্রতিঘাতের সূচনা নিয়ে । যেভাবে আরম্ভ করবে: ভেবেছিল, পুলকেশ বা যতীন কারো আরম্ভটাই সেরকম হয় না। হাসিমুখেই তারা সেই আরম্ভকে গ্রহণ করে এবং প্রয়োজন হওয়ায় বৈচিত্র্যময় প্রেমের লীলাখেলায় কত সময় যে তার কোথা দিয়ে কেটে যায় ! শেষের তিন বছর একবারও পুলিকেশ কোন সিনেমায় যায়নি। এই নিয়েই একদিন মৃন্ময়ীর সঙ্গে তার দারুণ কলহ হয়ে গেল । সিনেমায় মৃন্ময়ী হরদম যায়, অন্যের সঙ্গে । কিন্তু কেন তা হবে ? কেন তাকে পুলকেশ একদিন সিনেমায় নিয়ে যেতে পারবে না ? কোন স্বামী এ রকম ব্যবহার করে স্ত্রীর সঙ্গে ? তার নিজের যেতে ভাল না লাগুক, মৃন্ময়ীর কি সখা থাকতে নেই। “আরেকদিন নিয়ে যাব।” “আরেকদিন কেন ? আজি নিয়ে চল ।” তাই করতে হল শেষ পর্য্যন্ত। বহুদিন পরে পুলকেশ সেদিন একটি বাংলা ছবি দেখল। খাপছাড়া অদ্ভুত মনে হল বটে ছবিটা, কিন্তু আজ আর হাস্যকর মনে হল না। এমন কি অজানা নতুন তরুণ ডাক্তার পাড়াগাঁয়ে পা দেওয়া মাত্র কম্পাউণ্ডারের বয়স্থ কুমারী মেয়েকে তার সঙ্গে মাঠে গিয়ে নৃত্যুচ্ছন্দে লাফাতে লাফাতে ডুয়েট з эї