পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাখিয়া আহার করিতে হইলে আমার শূকরের বিষ্ঠা ভোজন করা হইত এবং হৃদয়ের যন্ত্রণায় আমাকে ছটফট করিয়া মরিতে হইত। ঐ কয়টি পরিবারকে মাসে মাসে কিছু টাকা দিতাম। অনেক স্ত্রীলোকের বিশ্বাস যে স্বামীর উপাৰ্লিজত অর্থে স্ত্রী ভিন্ন আর কাহারো অধিকার নাই, এবং অপরকে স্বামীর উপাজিত অর্থের ভাগ পাইতে দেখিলে তঁহারা মহা গণ্ডগোল বাধাইয়া থাকেন। স্বামীকে তঁহাদের অর্থ সাহায্য করিতে না দিয়া তাহাদিগকে বিষম অনশন কষ্টে ফেলিয়া দেন, এবং স্বামীর যন্ত্রণায় একশেষ করিয়া থাকেন। ভগবানের অসীম কৃপায় এবং আপনি স্বভাবের গুণে আমার পত্নী আমাকে কখনও ঐ সকল অনশনক্লিষ্ট পরিবারের অর্থসাহায্য করিতে নিষেধ করেন নাই। নিষেধ করা দূরে থাকুক, কোন পরিবারের জন্য কত DD DBDS DBD DDBDB BBDt OTYYDL DBBDDB D S S gg S qOOLL YBOD না । যাহাদিগকে অর্থসাহায্য করিতাম, তাহদের কাহাৱে কাহারে সহিত র্তাহারু একটু দা-দেয়িজির ভাব ছিল। তিনি যদি আমাকে ধরিয়া বসিতেন, উহাদিগকে তুমি কিছুতেই টাকা দিতে পরিবে না, তাহা হইলে নিরুপায় হইয়া আমাকে অনশনের কষ্ট দেখিয়া মৃত্যু-যন্ত্রণা ভোগ করিতে হইত। কিন্তু আমার পত্নীর জন্য তাহা ভোগ করিতে হয় নাই। ইহা কি সাধারণ সুখ ? এ সুখের পরিমাণও হয় না । কল্পনাও হয় না। বিধাতার কৃপায় আমার পত্নীভাগ্য অতুলনীয়। তঁহার এইরূপ মহত্ত্ব না থাকিলে এজন্মটা আমাকে মনুষ্যমধ্যে চণ্ডাল হইয়া এবং চক্ষের জলে ডুবিয়া থাকিতে হইত। আশীর্ব্বাদ করি, এবার জন্মগ্রহণ করিয়া আমার মহালক্ষ্মীকে যেন আমার মত মহাপাতকীয় সহধর্ম্মিণী হইবার ফলে চোখের জল ফেলিতে না হয় । অথবা আমি কি এমন মানুষ যে, তাহাকে আশীর্ব্বাদ করিব ? তিনিই আমাকে আশীৰ্বাদ করুন, আমি যেন জন্ম জন্ম তাঁহাকে পাইবার আশা আকাজক্ষ রাখিতে পারি। যে কয়টি পরিবারকে ভাত দিতে হইত, আমার পত্নীর পুণ্যাবলে তাহাদিগকে আমার আর অর্থ সাহায্য করিতে হয় না, তাহাঙ্ক আপনাদের অন্ন আপনার বিধাতার কাছে পাইতেছে ; প্রার্থনা করি, চিরকাল পাউক । কিন্তু তাহদের কাহাকে কত টাকা দিতাম, আমার পত্নী তাহা এখনও জানেন না, আমাকে জিজ্ঞাসাও করেন না, আমিও বলি নাই । বলিবও না। তঁহাকে কেহ ( অবশ্য একটু কুমতলবে)। জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিয়া থাকেন,-"ওসব টাকাকড়ির কথা, আমি কি জানি বোন ? ওসব পুরুষেরা জানেন । জানিতে ইচ্ছা হয়, তঁকে জিজ্ঞাসা করিও।” বড় ভাগ্যবান না হইলে, এমন সহধর্ম্মিণী পাওয়া যায় না। আরো একটু বলি : দেনা শোধ হয় কেমন করিয়া করিব ভাবিতে লাগিলাম। দেন। ৪/৫ হাজারের কম। নয়, এবং প্রতিদিন সুদ বাড়িতেছে। পত্নী বলিলেন,-আমার গহনা বন্ধক দিয়া যে \3\2 '