পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখিতেন । হাতের লেখা গোটা গোটা পরিষ্কার উজ্জ্বল ছিল । বালকের আগ্রহসহকারে স্কুলে ষত্ব ণত্ব ব্যাকরণ শিখিতে লাগিল। যুবক উমেদার-গোষ্ঠী, কাছাৱীতে আসিল, বাঙ্গলা লেখার এবারৎ দোরস্ত করিতে লাগিল। পূর্বেই বলিয়াছি উকীল রামচন্দ্র দত্ত বাঙ্গলা এবারতে খুব মজবুত ছিলেন, তিনিও খুব আগ্রহ সহকারে এবিষরে পিতৃদেবের সহায়তা করিতে লাগিলেন। প্রথম প্রথম হাকিমের মনোরঞ্জন-কারী বলিয়া কেহ কেহ ইঙ্গিতে তেঁাহাকে বিদ্রুপ করিত। কিছু দিন পরে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সকলেই উপলব্ধি করিল ; এবং এই কার্য্যের জন্য সকলেই পিতৃদেবকে ও রামচন্দ্র দত্তকে মনে মনে ভূয়সী প্রশংসা করিতে লাগিল । আমার শিক্ষার জন্য পিতৃদেব কিরূপ প্রকারণ- পদ্ধতি অবলম্বন করেন ও কিরূপ উপকরণ উপস্থাপিত করিয়াছিলেন, তাহা পূর্বেই বলিয়াছি। এখন আমার কীর্ত্তির একটু পরিচয় দিতে ক্ষতি কি ? যে সকল পুস্তক পড়িতাম, সে সকল পুস্তকের মধ্যে যে সকল দুরূহ শব্দ থাকিত, সেইগুলি একখানি খাতায় একদিকে লিখিতাম ও শব্দার্থ পিতার নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া লইয়া তাহার পাশ্বে লিখিতাম। কখন কখন পিতৃদেব স্বহস্তেও পার্শ্বে অর্থ লিখিয়া দিতেন । এমনি করিয়া অনেকগুলি খাতা হইয়াছিল। বালক কালের মন, -বৃদ্ধাবস্থার স্মৃতি ও মন দিয়া বিশ্লেষণ করা বড় কঠিন। সেই খাতাগুলি অভিধানরূপে প্রকাশ করিতে আমার ইচ্ছা হইয়াছিল । এই ইচ্ছার মধ্যে কতটা ছেলেমি ছিল, আর কতটা দুৱাকাজক্ষার বীজ ছিল ছিল, তাহা ঠিক করিয়া বলা একরূপ অসাধ্য। আমাদের বাড়িতে ‘শব্দাম্বুধি” অভিধান ছিল। আমি কাজে কাজেই, ‘শব্দসাগর’ সঙ্কলন করিতে সঙ্কল্প করিলাম, সঙ্কল্প মত কার্য্য হইল । অভিধানের পরিচয়-পৃষ্ঠা এইরূপ-- “冲可开t引玄>> শ্রীঅক্ষয়চন্দ্র সবকার কত্ত্বক প্রণীত । KQ SaS \o बाकाका $ ११b’ 3țF » R \s\O খ্রীষ্টীয় শাক ১৮৫৬ এই গ্রন্থে নানাবিধ পুস্তক হইতে দুরূহ শব্দ সঙ্কলন পূর্বক তদার্থ তৎপৃষ্ঠে লিখিত হইয়াছে।” বিদ্যাসাগর মহাশয় ‘কর্তৃক প্রশীত’ লিখিতেন, আমিও লিখিয়াছি। কেহ সংবৎ SR