পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবরত্ন সভা বসিতে বিলম্ব দেখিয়া, আমি ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের সমীপে ইহা পেশ করিলাম। তিনি অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া, হয়ত কত ন্যায়শাস্ত্র আলোড়িয়া, কত কাব্য-কলাপ মনে মনে আওড়াইয়া, শেষে সমাধা করিলেন,-“রজনীগন্ধা ফুলের ভাটা।” মিলাইয়া দিতেছেন, বলিতেছেন,-“রজনীগন্ধা ত যামিনী শোভিনী বটেই, শ্বেতবর্ণ বলিয়া ভারতী-রূপিণী, আর যত অধিক দিন থাকে, তত ফুল খসিয়া খসিয়া যায়।” আমরা প্রহেলিকার অর্গ শুনিয়া তাহার লক্ষ্য-শক্তির প্রশংসা করিতে লাগিলাম। পরে নবরত্ন প্রকৃত অর্থ ভাঙ্গিয়া দিলেন-জ্বলন্ত বাতি । তাৎকালিক আমোদ-প্রমোদের কিছু কিছু পারচয় পাওয়া যায় বলিয়া এই সকল ফষ্ট-নিষ্টি সংগ্রহ করিয়া, বহুদিন পরে প্রকাশ করিতেছি । আমার বহরমপুরে যা %য়ার কিছুদিন পরে, বঙ্কিমবাবু বহরমপুরে যান। তিনি এরূপ সভায় কথন মিশিতেন না । কেন তাহার আভাস, প্রেসিডেন্সি কলেজে, তাহার যাওয়া আসার পরিচয়ে একটু দিয়াছি। এখন আর একটু বলিতে হইতেছে। তাৎকালিক বঙ্কিম-চরিত্র চিত্রিত করিতে গিয়া, তাহার অহঙ্কারের কথা না বলা, ঘোরতর বিড়ম্বন । বঙ্কিমবাবু আমাদের সমাজে, সাহিত্যে গোলাপ ফুল। গোলাপের কেবল পাপড়ির রং দেখিবে, মিঠা মিঠা সৌরভ দেখিবে, ঢল ঢল রূপ দেখিবে ; গোলাপের বৃন্তে যে কঁাটা আছে, তাহা কি দেখিতে নাই ? গোলাপে কঁটা আছে বলিয়া, কি গোলাপের মর্য্যাদা কম ? “দেবের দুর্লভ নিধি, বিরলে বসিয়া বিধি 7:Tift:3 vgoro 3;{& Co ! নরের নিষ্ঠুর করে পাছে লণ্ড ভণ্ড করে এই ভয়ে কণ্টকে ঘিরেছে।” এই রূপ বর্ণনা করিয়া পিতৃদেব ঋতুবর্ণনে গোলাপেস মর্য্যাদা বৃদ্ধি করিয়াছেন । বঙ্কিম সম্বন্ধেও মদি তাই হয় ? যদি সামাজিকদের হাতে “লণ্ড ভণ্ড” হইবার ভয়ে, বঙ্কিমকে কেহ অহঙ্কারের আলোক আবরণ দিয়া, ঘিরিয়া রাখিয়া থাকেন ? অত কথা বুঝি আর না বুঝি, এই বুঝি যে, বঙ্কিমকে অহঙ্কারী বলিলে তঁহার uDS DDt BBS DDD DDSS BD DBDS BDBBBDS BBBBD DBB DBDYS DD DS বিশেষ বঙ্কিম অহঙ্কাৱী ছিলেন বলিয়া, তিনি দাম্ভিক ছিলেন, এমন কথা বলিতেছি। না । পিতৃদেব ও আমার সহিত বঙ্কিমচন্দ্রের পরিচয় কাহিনী গোড়া হইতেই यल ठोंदन । ৬৫,৬১ সালে পিতা যখন জাহানাবাদে মুনসেফ, বঙ্কিমবাবুর মেজ দাদা সঞ্জীবচন্দ্র, তখন জাহানাবাদে সব রেজিষ্ট্ৰাৱ হইয়া গেলেন ! সেই অবধি তাহদের দুইজনে বন্ধুত্ব t