এই শোক-তাপ-সম্ভগু সংসারে এরূপ আনন্দ যে লাভ করিতে পায়ে, সে ধন্য এবং তাহার জীবন সার্থক।” আবার বলি, এই চিত্র পিতার নিজকৃত স্বরূপ-চিত্র ; তিনি ভক্তির আনন্দ উপভোগ করিয়া জীবন সার্থক করিয়াছিলেন । ل পিতা আমাদিগের মত পোলিটিক্যাল কখন হন নাই । রাজনীতির খিচুক্তি করিয়া, দুহাতে ছড়াইয়া, কাককে বািক কে খাওয়াইংে তিনি কখন অভ্যাস করেন নাই । চাকুরি কবিতে করিতে তিনি যে রাজনীতির চক্র-বুহি মধ্যে পড়িয়াছিলেন, সে কথার পরিচয় পূবেবর্ণিং দিষ্ট নাই, এখনও দিব না। তিনি পোলিটিক্যাল ছিলেন। না, সু।" রং সাধারণীতে লিখিতে ভালখাসিতেন না । গবর্ণমেণ্ট এ সকল কাজে নিতান্ত না পাজ, রাজ শর্ম্মচারীদিগের পক্ষে সংবাদপত্রে লেখা একপ্রকাবি নিষিদ্ধই ছিল । কাজেই সাধারণীতে লিখিতে আমি তাহাকে কখন অনুরোধও করি নাই । কেঁকশীয়ালির বটবৃক্ষের বর্ণনার কথা প্রথমেই বলিয়াছি, সেইরূপ পন্থ রুচিৎ কখন লিখিতেন এবং সাধারণীতে প্রকাশিত হইত। আর ঋতুবর্ণনের নিদাঘ ভাগের অনেক অংশ সাধারণীতে ক্রমশ প্রকাশিত হইয়াছিল ; আর বর্ষার কয়েকটি বর্ণনা প্রকাশিত হয়, তাহা অস্থাপি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় নাই । গদ্য প্রবন্ধ সাধারণীতে অতি অল্পই লেখেন । ১২৮১ সালের ১ই জৈষ্ঠ সাধারণীতে প্রকাশিত “সাক্ষী” নামক প্রবন্ধটি এই স্থানে উদ্ধৃত করিয়া দিলাম, অবশ্য সমালোচনা করিব না । সাক্ষা। ( বিচার কার্য্য সাধনার্থ সাক্ষীর সাহায্য নিতান্ত প্রয়োজনীয় । কোন ব্যবহার মীমাংসা করিতে হইলে, তদ্বিষয়ে উভয় পক্ষের বিবৃত ভূতপূর্ব্ব বাপাব সমূহের বিবেচনা করিতে হয় । কিন্তু সেই সমস্ত ব্যাপার সম্বন্ধে বিচারপতি সম্যক অনভিজ্ঞ থাকায়, কোনটি সত্য কোনটি মিথ্যা কিছুই নিব্বাচন করিতে পারেন না। তখন সাক্ষীর বাক্যই তেঁাহার প্রধান উপায় । তিনি তদুরা অন্ধকারে আলোক লাভ করেন ; আপনার পথ দেখিতে পান, এবং জটিল জাল ছেদন করিয়া সত্যের উদ্ধার করিতে পারেন ! যাহার বাকোর দ্বারা ঈদৃশ উপকার প্রাপ্ত হওয়া যায়, তঁহাকে আদর করা সকবতোভাবে কর্ত্তব্য এবং ভগবান মানুও তদীয় সংহিতায় সাক্ষীকে সম্মান করিতে বিশেষ উপদেশ দিয়াছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, অধুনা ইংরাজ রাজ-প্রতিস্থাপিত ধর্ম্মাধিকরণ সমূহে সাক্ষৗদিগকে আদর বা সম্মান কৰা দূরে থাকুক, তাহদেৱ বিশেষ অবমাননা ও সময়ে সময়ে নিপীড়ন করা হয় ; এই সকল ধর্ম্মাধিকারণে সাক্ষীদিগের দুর্দশা দর্শন করিলে বোধ হয়, যেন তাহারা কোন গুরুতর অপরাধ কৰেিয়াছে এবং
