পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংবাদ পত্রেয় সম্মান হইত। অর্থাৎ রাজার আদয়ে সর্ব্বসাধারণের কাছে সন্মান পাওয়া যাইত । আর তখন সাহিত্যের একরূপ সমাদর ছিল ; এখন তাহা দেখিতে পাই না । সেদিন বঙ্গ-দৰ্শনে যে “বঙ্গ-মঙ্গল” প্রকাশিত হইয়াছে, সেইরূপ শ্লেষ-ব্যঙ্গপূর্ণ কবিতা বা পঞ্চানন্দি কবিতা, সেই সময়ে যদি সাধারণীতে প্রকাশিত হইত, তাহা হইলে সমগ্র বঙ্গে একটা টিটি পড়িয়া যাইত । এখনত সেরূপ কিছু হইল না । বঙ্গমঙ্গলের কেহ খবরই লইল না । বিদ্রপাত্মকে পন্থের দশা এইরূপ ; গতীর, গম্ভীর ভাবপূর্ণ গদ্যের কেহ সংবাদই রাখেন না । ১০ । ১৫ বৎসরে, ক্রমে ক্রমে, এইরূপ দাড়াইয়াছে । কেন হইয়াছে, সে বিষয়ের আলোচনা এখানে কৱিব না । ২ •{৩* বৎসর পূর্বে এরূপ ছিল না ক্ষুটোমুখ বঙ্গসাহিত্যের যথা সম্ভব সন্মান ছিল । সরস রচনার সমাদর ছিল । সাধারণী সাহিতা এবং রাজনীতি সমভাবে সমানে সেবা করিবার নিমিত্ত জন্ম গ্রহণ করিয়াছিল, কারিতও তাঁহাই ! সাধারণী বলিত, ক্রন্দন ভিন্ন পলিটিক্স নাই ; সুতরাং সরল বালিকার মতন কাদিত, ছোট ছোট আব্দাৱা DBBBDSSS S DZKBBB DBDBDB GD S G BBDDB BD DBDBBDBDDS DDD DELL করিলে এখন মুখ বাকান, ভৎসনা করেন, তখন বালিকার কথা বুঝিয়া হাসিন্ধা উড়াইয়া দিতেন। সাধারণীর ক্ষুদ্র কথায় রাজা কর্ণপাত করিতেন বলিয়া, সাধারণীৱ ধৎকিঞ্চিৎ সম্মান ছিল । আর সাহিত্য-সেবা-পয়ায়ণ ছিল বলিয়া সাধারণীর যৎকিঞ্চিৎ সন্মান ছিল বাঙ্গালার কৃতবিস্তের কাছে। বঙ্কিমবাবুর বঙ্গদর্শনের গুণে বাঙ্গালি বাৰু সক করিয়া বাঙ্গালা পড়িতে শিক্ষা করেন। আর রাজনীতি জড়িত সাহিত্যের সক মিটাইবার জন্য,-সাধারণীর জন্ম। পূর্বেই বলিয়াছি ১২৭৯ সালের ১লা বৈশাখ বঙ্গদর্শন, আর দেড় বৎসর পরে ১২৮০ সালের ১১ই কার্ত্তিক সাধারণী প্রকাশিত হয় । তাহার পূর্বে রাজনীতির সহিত সাহিত্যের সেবা, কি আর কোন সংবাদ পত্রে হইত। না ? হুইত বৈকি। ঈশ্বর গুপ্ত লিখিতেন, লাট সাহেবকে সম্বোধন করিয়া পছন্ত । কিন্তু সাধারণী প্রকাশের সময় সেরূপ কিছু ছিল না ! ছিল মহামহিমান্বিত সোম প্রকাশ। তাহাতে থাকিত-( বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের প্রেতাত্মা ক্ষমা করিবেন। ) তাহাতে থাকিত-“যদি রাজস্ব সচিবের অবিশ্বস্তুকারিতা দোষে দেশীয় জনগণের উপচীয়মান গুণাবলী অপচিত হইতে থাকে"-এই সাহিত্য রচনা সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত বর্গের আদরের সামগ্রী হইলেও, ইংরাজী কৃতবিদ্যগণ ইহাতে অবজ্ঞা প্রদৰ্শন করিতেন, সাধারণ জনগণ উহার ত্রিসীমাতেই অগ্রসর হইতে পারিত না। পূর্বেই বলিয়াছি ঈশ্বর গুপ্তের পদ, “অ্যালালের ঘরের দুলাল,’ ‘হুতোম পেঁচার নামা’ প্রভৃতি অতি শিশুকালে পাঠ করিয়া, শিখিয়াছিলাম যে সহজ বাঙ্গালী উপেক্ষার পদার্থ নহে। আর সংস্কৃতানুসারিণী বাঙ্গালায় যে, অধিকতর গাম্ভীর্য হয় তাহাও ভুলি নাই । অতি a