পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিত মুহুর্ত্ত পরে আইল সেখানে । চসীমা বাহিৱ ক’রে পরে সাবধানে ৷ খসিবার ভয়ে তাহা পরিল কাসিয়া, তার পরে যুত করে লইল বসিয়া । ভূত পালাইয়া যায় কথার ভঙ্গিতে ! “এস দেখি তোমাদের দেখি একবার । তোমাদের সঙ্গে হ’ল পেরে ওঠা ভার। আজ কাল তোমাদের অনিয়ম ভারি, বাবুকে না বলে আর থাকিতে না পারি ৷” “ভারি নাকি অনিয়ম’ ছাত্র এক কয় । পণ্ডিত হাসিয়া বলে “আনিয়ম নয় ? লজ্জা করে না তোমার বলিতে ও কথা ? পড়া শুনা ত্যাগ করি ছিলে সব কোথা • দেখ দেখি চেয়ে ক’ত হইয়াছে ব্যালা ? ছি ছি. ছি. বিদ্যার প্রতি এত অবহেলা । যাও প’ড়ে কাজ নাই, কর গিয়ে খ্যালা ৷” এই ব’লে ঘাড় ধ’রে দিলে এক ঠ্যাল ৷ কৈলাস মুখুয্যে ছিল ব’সে এক কোণে, মুচকি মুচকি হাসি সব কথা শোনে । একজন চুপে কহে ‘হাসিছ যে বড় ?” কৈলাস ইঙ্গিতে ক’লে, “কর্ত্তা থাপা বড় ।” তেতেলীয় দুপুর রাত্রি । 5:ভীর নিশীথ মাঝে মাজে দ্বিপ্রহর । শ্রমশান্তি সুধাপানে বজো চরাচর } নিশির উদার স্নেহে ঢালি দিয়া বুক । ভুঞ্জিতেছে বসুমতী বিশ্রামের সুখ ৷ শূন্যে করে তারাগণ জ্যোতির সঞ্চার । গাছপালা ঝোপে ঝোপে লুকায় আঁধার { কে কোথায় পড়ি আছে কোন চিহ্ন নাই । নিদ্রায় মগন সবে নিজ নিজ ঠাই ৷ AR R