পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিতে কি, আমার ধর্মজীবনের আরম্ভ হইতে এই ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত কালকে শ্রেষ্ঠ কাল বলিয়া মনে করি । এই সময়টা যে ভাবে যাপন করিয়াছিলাম, সেজন্য মুক্তিদাতা প্রভু পরমেশ্বরকে মুক্তকণ্ঠে ধন্যবাদ করি। বিনয়, বৈরাগ্য, ব্যাকুলতা, প্রার্থনাপরায়ণতা প্রভৃতি ধৰ্মজীবনের অনেক উপাদান এ-সময়ে আমার অন্তরে বিদ্যমান ছিল। আমার যত দূৱ স্মরণ হয়, তখন আমার মনের ভাব এই প্রকার ছিল যে, আমার ধর্মবুদ্ধিতে থাকিয়া ঈশ্বর যে পথ দেখাইবেন তাহাতে চলিতে হইবে, BDDB BD DBD D BBBBDS BD BBB gD BBD BD S DBDBD DBDDDD SLDD করিতাম, এবং যাহা একবার কর্তব্য বলিয়া নির্ধারণ করিতাম, তাহাতে দুৰ্জয় প্রতিজ্ঞার সহিত দণ্ডায়মান হইতাম, ফলাফল ও জীবন মরণ বিচার কারিতাম না । ইহার নিদর্শন স্বরূপ যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবা বিবাহ দেওয়া ও আমার এল. এ. পরীক্ষার জন্য গুরুতর শ্রম, প্রভৃতি ঘটনার উল্লেখ করিতে পারা যায়। সে সকল ক্রমশ বর্ণনা করিতেছি । বন্ধুর বিধবাবিবাহ ও সামাজিক নির্যাক্তন। প্রথম ঘটনা, যোগেন্দ্রের বিধবাবিবাহ । এই বিবাহ ১৮৬৮ সালের প্রথম ভাগে হয়। ইহার ইতিবৃত্ত এই। ঈশানচন্দ্র রায় নামক নদীয়া-কৃষ্ণনগর নিবাসী ও কলিকাতা প্রবাসী একটি যুবক তখন কলিকাতা মেডিকেল কলেজে পাঠ করিতেন। তঁহার সঙ্গে তঁহার মাতা ও একটি বিধবা ভগিনী ছিলেন । আমার জ্ঞাতি দাদা হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন ( যিনি পরে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক হইয়াছিলেন ) ঐ মেয়েটিকে পড়াইতেন । হেমদাদার নিকট আমি মেয়েটির প্রশংসা সর্বদ শুনিতাম । তিনি আমাকে বলিতেন যে, মেয়েটির ভাই তাহার আবার বিবাহ দিতে চায় । আমি শৈশবাবধি বিদ্যাসাগরের চেল ও বিধবাবিবাহের পক্ষ । আমি মনে মনে ভাবিতাম, আমার আলাপী কি কোনো ছেলে পাওয়া যায় না। যে মেয়েটিকে বিবাহ করিতে পারে ? 堕 ইতিমধ্যে আমার সহাধ্যায়ী বন্ধু যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিপত্নীক হইলেন । তঁহার প্রথমা স্ত্রীর পরলোক গমনের দশ-বারোদিনের মধ্যেই তঁহার আত্মীয়-স্বজন তঁহাকে পুনরায় দীর পরিগ্রহ করিবার জন্য অস্থির করিয়া তুলিলেন। যোগেন্দ্র আসিয়া আমাকে সেই কথা জানাইলেন এবং আমার পরামর্শ চাহিলেন । আমি বলিলাম, “যাও যাও, আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা কোরো না । দশ-বারোদিন হল তোমাক্স স্ত্রী মরেছে, এর মধ্যে বিবাহের কথা ! আর বিয়েই যদি কর, একটি আট-নয়-বছরের মেয়ে বিয়ে করবে তো, তাতে আমার মত নেই। তোমার যা ইচ্ছে হয় কর ।” যোগেদি সেদিন বিষন্ন অন্তরে ঘরে গেলেন । দুদিন পরে আবার আসিয়া আমাকে ধরিলেন । ክሦ\©