পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूबिक “আমার বাল্যকথা’ ও ‘বোম্বাই প্রবাস' সমস্তটাই ভারতী পত্রিকায় প্রায় দুই বৎসর ধরিয়া ক্রমান্বয়ে বাহির হইয়াছে, এইক্ষণে এই দুই খণ্ড একত্রে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইল। প্রথম খণ্ডে আমার বাল্যজীবন কাহিনী বর্ণিত, দ্বিতীয় খণ্ডে' আমার সিবিল সর্বিস পরীক্ষা হইতে আরম্ভ করিয়া বোম্বাই প্রবাসের শেষ পর্য্যন্ত বিবৃত এবং সেই সঙ্গে বোম্বাই মহারাষ্ট্র ও সিন্ধুদেশের ইতিহাস, পারসী জাতি, জৈন স্বামী নারায়ণ প্রভৃতি গুজরাতের ধর্ম্ম সম্প্রদায়, আর্য্য সমাজ ও প্রার্থনা সমাজের বিবরণ অল্পবিস্তর দেওয়া হইয়াছে। এই সকল লেখার ভাষা সম্বন্ধে আমার দু-একটি কথা বলিবার আছে। বক্তব্য এই যে এই গ্রন্থে সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা এ উভয়েরই সম্মিশ্রণ দৃষ্ট হইবে। চলিত ভাষার ব্যবহার বিষয়ে নানা মুনির নানা মত । কোন কোন পণ্ডিত সাহিত্য-ক্ষেত্রে কথিত ভাষার ব্যবহার নানা কারণে স্কুষ্য বিবেচনা করেন, আবার ‘বীরবল” প্রমুখ অপর একদল সাহিত্যিক আছেন। যাহারা ঐ ভাষা প্রচলনের পক্ষপাতী। আমি প্রয়োজন মত এই দুই প্রকার ভাষার উপযোগ করিয়া উভয় পক্ষেরই মনোরক্ষা করিতে সচেষ্ট হইয়াছি। আমার মনে হয় বিষয়ের তারতম্য অনুসারে ভাষারও তারতম্য আবশ্যক হইয়া পড়ে। সে যাহা হউক, ভাষাতত্ত্বের বিস্তৃত আলোচনা করিবার স্থান ইহা নহে। পাঠকবর্গ এই তর্কের মীমাংসা করিবেন। আমি গ্রন্থখানি তঁহাদের বিচারাসনে আনিয়া এখনকার মত বিদায় গ্রহণ করিলাম । बौ Ve Vffè, yeye t শ্রীসত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।