পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেটা কত প্রত্যক্ষবৎ বলি শুন। একদিন চক্ষু বুজিয়া খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিলাম। আমার স্ত্রী বলিলেন-শুধু শুধু অত হাসি কেন ? আমি বলিলাম—শুধু শুধু নয়। ও আমার বাল্যকালের হাসি। স্ত্রী-সে। আবার কি রকম ? আমি— তবে বলি শুন । আমরা নয়ান চাদ দত্তের গলির একটা বাড়ীতে অনেকদিন ছিলাম । তখন ইস্কুলে পড়িতাম। কিন্তু বৃন্দাবন দাদার এমনই শাসন ছিল যে, ইস্কুলে যাইবার সময়ে ভিন্ন অন্য কোনও সময়ে আমরা সদর দরজার চৌকাঠের বাহিরে পা দিতে পারিতাম না। একটা রবিবারে বেলা ৮টা কি ৯টার সময় চৌকাঠের উপর বসিয়া আছি, এমন সময় একটি লোক আসিল । কিছু দীর্ঘাকার, ঘোর কৃষ্ণবর্ণ, তাহার চক্ষু দুইটি এত বড় যে, ঘুমাইলেও বোধ হয় সমস্তটা বুজিত না। বোধ হয় নেশা করিবার দরুণ তাহার চক্ষু এৰূপ হইয়াছিল। কোন নেশায় চোখ ওরূপ হয় বলিতে পারি না । নেশাখের ও ডাক্তারে বোধ হয় বলিতে পারেন । সে প্রতিদিন আমাদের বাড়ীতে তিলকুটো সন্দেশ দিয়া আসিত। সেদিন। কিন্তু তাহার হাতে সনেদশের হঁাড়ি ছিলনা । আমি মনে করিলাম-বোধ হয় সনেদশের দাম পাওনা আছে, তাহাই আদায় করিতে আসিয়াছে। এমন সময়ে আমার গিরিশ ভায়া আসিয়া তাহার সেই স্বাভাবিক উদ্ধত ভাবে বলিলেন-কে হে তুমি, যাও, যাও, যাও। সে কিন্তু গম্ভীরভাবে তাহার সেই মোটা গলায় আধ বোজা চক্ষে উত্তর করিল-চিন্তে পারবে কেন ? চিন্তে পারবে কেন ? হঁড়ি নাই যে । হাড়ি নাই যে। আমরা খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিলাম। এ সেই হাসি ; বুঝিলে ? আটচালা জুড়িয়া সাপ পাতা হইয়াছে। চণ্ডীমণ্ডপে স্ত্রীলোকেরা বসিয়াছেন । ঘোষাল মহাশয় এবং আমাদের কুলপুরোহিত ৬/ঈশ্বরচন্দ্র বালিয়াল মহাশয় এবং আমাদের পাড়ার ৩/কালাচান্দ আচার্য্য মহাশয় সর্বজ্যেষ্ঠ হইতে আরম্ভ করিয়া সৰ্বকনিষ্ঠ পর্য্যন্ত প্রত্যেকের মস্তকে মায়ের অৰ্ঘ্য বুলাইয়া ছোয়াইয়া, মায়ের ফুল দিয়া আম্রশাখা দ্বারা সর্বশরীরে শাস্তিজিল সেচন করিতে তাহার পর নূতন দেশী কাগজে নূতন লাল কালি দিয়া নূতন কলমে তিনবার করিয়া এইরূপে দুৰ্গানাম লেখা হইত। གླིདྨfi ဇိချဲ့ချဲ့မှူ† ဇီးချဲ့ဒီရဲ့ဗူfi 빠이 শরণং 이한 সর্ব্বজ্যেষ্ঠ হইতে আরম্ভ করিয়া সৰ্বকনিষ্ঠ পর্য্যন্ত পার পর দুর্গানাম:লিখিত হইত। তাহার পর জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠ অনুসারে কনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ দিগকে প্রণাম করিত, তাহদের পায়ের YV)