পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিছুই যেন পূর্বের ন্যায় নিখিৱকিচ নাই, সকলোতেই যেন কি রকম একটা খিৱকিচ আসিয়া ঢুকিয়াছে। তখন শৈশবের সেই আনন্দে আমার আর কুলাইল না । অন্ত আনন্দের সম্পূহ হইল। বিবাহ করিবার ইচ্ছা হইল। বিবাহ হইল। বিবাহ করিয়া যত সুখ যত আনন্দ পাইব মনে করিয়াছিলাম-বিবাহ করিবার পর তাহার অপেক্ষা অনেক অধিক সুখ ও আনন্দ পাইলাম। যাহার সহিত বিবাহ হইল, তিনি আমাতে এত মিশিলেন যে, তাহাকে একদিন না দেখিলে আমি অস্থির হইয়া পড়িতাম । এই যে ৪৫ বৎসর তাহার সহিত মিলিত হইয়াছি, ইহার মধ্যে ২৫ দিন মাত্র তাহার কাছ ছাড়া থাকিয়াছি। এই ২৫ দিনের মধ্যে ১৯ দিন তাহাকে দেওঘরে রাখিয়া কলিকাতায় আসিয়া ছুটী মঞ্জুর করাইতে লাগিয়াছিল । ২০ দিনের দিন দেওঘরে ফিরিয়া গিয়া তাহাকে আর দেখি নাই, তাহার কেবল কঙ্কালখানা দেখিয়াছিলাম। তবুও ঐ ১৯ দিনে কলিকাতা হইতে তাঁহাকে ১৯ খানা পত্র লিখিয়াছিলাম। যখন ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট হইয়া ঢাকায় গিয়াছিলাম, তখন তাহাকে ছাড়িয়া যাইতে পারিব না বলিয়া আমাৰ ঋণের পরিমাণ বাড়াইয়াছিলাম। যখন জয়পুর কলেজের অধ্যক্ষ হইয়া যাই, তখনও ঠিক তাই করিয়াছিলাম। সে ঋণ আমার শোধ হইয়াছে। তাঁহাতে এত মিশিবার কারণ এই যে, তাহার গুণে তিনি আমাকে অভিভূত করিয়া ফেলিয়াছিলেন। সচরাচর যাহাকে রূপসী বা রূপবতী বলে তিনি তােহা নহেন, কিন্তু তাহার মতন মিষ্ট মুখশ্রী আর কোন স্ত্রীলোকের দেখি নাই । সে কেবল তঁহার গুণেৱ বাহু অভিব্যক্তি বলিয়া । তাহার কোনও BBB BBD BBB DS BDDODDDL DBDB BDD TEEL DBDDBBD D BBEEDD ভাল কাপড় কি নিজ প্রয়োজনে একটি টাকা চান নাই। তীর্থে যাইতে বলিলে, বলেন, তুমিই আমার তীর্থ, আমি তীর্থে যাইব না। তাই সম্প্রতি আমার মেজ মেয়ে, নানুমা, আমার বাড়ীতে আসিয়া গঙ্গাত্মানের কথায় বলিয়াছিল, মাকে একদিনও গঙ্গা নাইতে বা কালীঘাটে যাইতে দেখিলাম না । যখন জয়পুরে ছিলাম, তখন পুষ্কর তীর্থ আমাদের অতি নিকটে, কিন্তু আমার পত্নী সাবিত্রীর মাথায় সিন্দুর দিবার অভিলাষ প্রকাশ করেন নাই । যখন জয়পুর হইতে ফিরিয়া আসি, তখন এলাহাবাদে BDB BDBDB DBDuuB D S DD BB S DD SBDBLL DDB DBDDBB ডুব দিতে চাহেন নাই। এইরূপ পত্নী পাইয়া আমি চিরজীবন সেই বাল্যকালের নির্ম্মল আনন্দের ন্যায় আনন্দে ভরপুর হইয়া আছি । আমার রোগশোকের এত যে বাহুল্য, তাহাতে আমি সেইজন্য কাতর নহি । আমার পত্নীর সন্তান বলিয়া আমার হরনাথ, আমার প্রকাশনাথ, আমার নাহু, আমার বুলা আমার এত প্রিয়। ইহাদের ভালবাসা ভক্তি আর সেবায় আমি চরিতার্থ । ইহাদিগকে সন্তানরূপে y)