পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচ্ছেদ YSRW30 নিষেধ করিয়া পিতাকে পুত্র লিখিলাম। তাহাতে বাবা কুপিত হইলেন। আমার নিষেধ গ্রাহ করিলেন না। আমার অজ্ঞাতসারে গোপনে একটী শিশু বালকের সহিত তাহার বিবাহ সম্বন্ধ স্থাপন করিলেন। আমি শুনিয়া অতিশয় দুঃখিত হইলাম। একটা কথা এখানে বলিয়া রাখা আবশ্যক। ঈশ্বর-চরণে প্রার্থনা দ্বারা আমার হৃদয়-পরিবর্তন ঘটিলে, আমার প্রাণে এক নুতন সংগ্রাম জাগিয়াছিল। সকল বিষয়ে আপনাকে ঈশ্বরোিচ্ছার অনুগত করিবার জষ্ঠ্য দুরন্ত প্রতিজ্ঞা জন্মিয়াছিল । ইহার ফল জীবনের সকল দিকেই প্রকাশ পাইতে লাগিল। সকল বিষয়ে আপনাকে শাসন করিতে "প্ররক্ত হইলাম। আত্মনিগ্রহের উদেশে, পাঠ্য বিষয়ে মধ্যে মধ্যে অঙ্গীতিকর বোধে যে যে বিষয় অবহেলা করিতাম, তাহাতে অধিক মনোযোগী হুইলাম। যে যে বিষয়ে আসক্তি ছিল তাহা ত্যাগ করিতে এবং যে কিছু অরুচিকর তাহ অবলম্বন করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। আমার মনে আছে অগ্রে অঙ্কে অমনোযোগী ছিলাম, তাহার ফলস্বরূপ পরীক্ষাতে কখনও একশতের মধ্যে বিশের উপর নম্বর পাইতাম না। ১৮৬৬ সাল হইতে তাহা বদলাইয়া গেল। অঙ্কে এরূপ মনোযোগী হইলাম যে, ১৮৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইলাম। তৎপরে সেই প্রতিজ্ঞা ও সেই দৃঢ়ব্রত রহিয়া গেল। এই সময়ে আমি প্রথমে মাংসাহার পরিত্যাগ করি, প্রাণীহত্যা নিবারণের ইচ্ছায় নয়, কিন্তু মাংসের প্রতি আসক্তি ছিল বলিয়া। মাংসাহারে এমনই আসক্তি ছিল যে ভবানীপুরে চৌধুরী মহাশয়দিগের ৰাষ্ঠীতে বাসকালে প্রায় প্রতি রবিবার প্রাতে কালীঘাট হইতে জীবন্ত পাঠ আসিত। ডাক শুনিলেই আমার পড়া-শুনা বন্ধ হইত। তাহাকে কাটিয়া কুটিয়া রাধিয়া পেটে না পুরিতে পারিলে আর