পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ S Sy DD DD BBBD D BDD D DBBD LDBDBDBD BDBBB কলুটোলার বাড়ীতে উপাসনাতে যোগ দিতে যাইতাম, কিন্তু কীর্ত্তনের সময় ব্রাহ্মদিগের অনেকে গড়াগড়ি দিতেন, নানাপ্রকার চীৎকার করিতেন, ও পরস্পরের পা ধরাধরি করিতেন, কেশববাবুর পায়ে পড়িতেন, এজন্য ভাল করিয়া উপাসনাতে যোগ দিবার ব্যাঘাত হইত। সেই কারণে: সর্ব্বদা যাইতাম না । এই বৎসরই মুঙ্গের হইতে ব্রাহ্মসমাজে নর-পূজার আন্দোলন উঠে। আমাদের বন্ধুদ্ধয় বাবু যদুনাথ চক্রবর্ত্তী ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী সংবাদপত্রে প্রচার করিয়া দেন, যে, ব্রাহ্মেরা কেশববাবুকে “প্রভু ত্রাণকর্ত্তা” প্রভৃতি বলিয়া সম্বোধন করিতেছেন, তাহার চরণে ধরিয়া পরিত্রাণের জন্য প্রাথনা করিতেছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। ইঙ্গা লইয়া দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হয় এবং যদুনাথ চক্রবর্তী ও বিজয়কৃষ্ণু গোস্বামী কেশবের দলকে পরিত্যাগ করিয়া যান। গোসাইজী নিজের শান্তিপুরের বাটতে গিয়া চিকিৎসা কার্য্য আরম্ভ করিলেন । আমার স্মরণ হয়। আমি এই বৎসরের মধ্যে শান্তিপুরে তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলাম ; পূর্বেই বলিয়াছি তিনি আমার সহাধ্যায়ী, তাহার মুখে সমুদয় শ্রবণ করা উদ্দেশ্য ছিল। আমার স্মরণ আছে উন্নতিশীল দলে এই বিবাদ বাধাতে আমি মর্ম্মান্তিক দুঃখিত হইয়াছিলাম। ইহাতে কেশববাবু হইতে আমার চিত্ত বিচ্ছিন্ন হয় নাই। র্তাহাদিগকে নরপুজা অপরাধে অপরাধী বলিয়া বিশ্বাস জন্মে নাই ; ব্রাহ্মদিগের আচরণকে কেবলমাত্র ভক্তি প্রকাশের আতিশষ্য বলিয়াই মনে হুইয়াছিল। কিন্তু কেশববাবুর পত্রিকাতে প্রতিবাদকারীদের কথার উত্তর যেভাবে দেওয়া হইয়াছিল, তাহাদিগকে লোকচক্ষে হীন করিবার জন্য যেরূপ প্রয়াস পাওয়া হইয়াছিল, তাহা সত্য ও ন্যায়ের অনুগত ব্যবহার নয় বলিয়া প্রতীতি জন্মিয়াছিল।