পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ NA VIR

  • প্রবল হয়। ইহার ফলস্বরূপ শ্রীষ্টীয় ধর্ম্মভাব যে অনুতাপ ও প্রার্থনা তাহা উন্নতিশীল দলকে প্রবল রূপে অধিকার করে। পাপবোধ নব্যব্রাহ্মদের সকলের অন্তরে প্রবল হইয়া উঠে। অনুতাপ-ব্যঞ্জক সংগীতাদি রচিত হাঁটতে থাকে। ইহার উপরে বোধ হয় ১৮৬৭ সালে গোঁসাইজী উদ্যোগী হইয়া তাহার জ্যেষ্ঠকে ডাকিয়া আনিয়া উন্নতিশীল দলকে বৈষ্ণব সংকীর্ত্তন শুনান। তদবধি সংকীর্ত্তন-প্রথা ব্রাহ্মদের মধ্যে প্রবেশ করে। এইসকল উত্তেজনার ফলস্বরূপ ১৮৬৮ সালে নরপুজার চাঙ্গামা উপস্থিত হয়। এই পাপবোধ ও ব্যাকুলতার ভাব হইতেই ব্রাহ্মেরা কেশববাবুর চরণে পড়িয়া কাদিতেন ।

যখন একদিকে অনুতাপ, ব্যাকুলতা ও প্রার্থনার তরঙ্গ প্রবাচিত ঠাইতেছে, তখন অপরদিকে ব্রাহ্মদের মধ্যে একদল লোক বলিতে লাগিলেন, “এত অনুতাপ ও ক্রন্দন কেন ? প্রেমময়ের গৃহে এত ক্রন্দনের রোল কেন ? আনন্দময়ের প্রেমমুখ দেখিয়া আনন্দিত হও।” এই দলকে ব্রাহ্মেরা তখন আনন্দবাদী দল বলিতেন। শিশিরবাবুইহঁদের অগ্রণী ছিলেন। নরপুজার হাঙ্গামা দেখিয়া ইহঁরা আমাদের ভিতর হইতে সরিয়া পড়িলেন। ১৮৬৯ সালের মাঘোৎসব ভারতবৰীয়-ব্রহ্মমন্দিরের অসম্পূর্ণ বাড়ীতে চাঁদোয়া খাটাইয়া সমাধা করা হয়। সেই উৎসবে একজন মুঙ্গের হইতে সমাগত ব্রাহ্ম, উপাসনান্তে কেশববাবুর চরণে ধরিয়া কি প্রার্থনা আরম্ভ করিলেন। তাহাতে শিশিরবাবুর দাদা হেমন্তবাবু বিরক্ত হইয়া উঠিয়া, এইরূপ ব্যবহারের প্রতিবাদ করিয়া রাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। ত্রৈলোক্যনাথ সান্ন্যাল মজাশয়কেও বিরক্তি প্রকাশ করিয়া বাহিরে যাইতে দেখিলাম । ইহার পরে অমৃতবাজারের দলকে আর আমাদের উপাসনাতে বড় আসিতে দেখিতাম না। কলিকাতা পটলডাঙ্গা, পটুয়াটোলা লেনে