পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yoo শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত দেখিলেন, আদম ও হবা মনে আসিল না। তখন মেম তিরস্কার করিয়া বলিয়া গেলেন, “তোমার বাবুকে জিজ্ঞাসা করিতে পার না ?” মেম পুনরায় আসিবার দিন প্রাতে প্রসন্নময়ী আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ই গো, মানুষ আগে কি করে হলো ?” আমি বলিলাম “তা কে জানে ? তবে একজন পণ্ডিত বলেছেন যে আগে মানুষ বানর ছিল, বানর হতে মানুষ ভয়েছে।” সেদিন মোম আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “মানুষ কেমন করে গুলো ?” প্রসন্নময়ীর আবার আদম ভবা মনে নাই । তখন বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “তোমার বাবুকে জিজ্ঞাসা কর না কেন ?” প্রসন্নময়ী ভয়ে ভয়ে বলিলেন, “তঁাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেছেন “বানর হতে মানুষ হয়েছে।” মেম বলিলেন, “তােমার বাবু বড় দুষ্ট তোমাকে তোমাসা করেছে।” প্রসন্নময়ী বলিলেন “না, তামাসা করেন নি, সত্যি সত্যি বলেছেন।” সেদিন ঘটনাক্রমে আমি অন্য ঘরে ছিলাম, মেম যাইবার সময় আমার নিকট আসিলেন। তখন ডারুইনের নূতন মত সম্বন্ধে সমুদয় কথা তাহাকে বলিলাম। তিনি প্রসন্নময়ীকে পরে বলিয়াছিলেন, “তোমার বাবুকে কিছু জিজ্ঞাসা করে না।” শুনিয়া আমি অনেক হাসিয়াছিলাম। এইরূপ একজন মিশনারী মেম গণেশমুন্দরীকে পড়াইতেন। একদিন গণেশমুন্দরী স্বীয় বিধবা মাতাকে ও ভ্রাতৃগণকে কিছু না বলিয়া মিশনারীদিগের আশ্রয়ে পলাইয়া গেলেন। পরে তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন, সে, মেম যপন তাহাকে বলিতেন, যে, তিনি অনন্ত নরকের ধারে দাড়াইয়া আছেন, তখন ভয়ে তাহার প্রাণ কঁাপিয়া উঠিত এবং তিনি ত্বরায় যীশুর আশ্রয়া লইবার জন্য ব্যগ্র হইতেন। যাহা হউক, যে কারণেই হউক, তিনি মিশনারীদিগের আশ্রয়ে পলাইয়া গেলেন। ইহা লইয়া সহরে তুমুল আন্দোলন ও হাইকোটে মোকদম উপস্থিত হইল। মোকদ্দমায়। গণেশ