পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NA 8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত পৃথিবীতে নাই। তঁহার মনে হইল কতকগুলি ব্রাহ্ম পরিবারকে একত্র রাখিয়া কিছু দিন সময়ে আহার, সময়ে বিশ্রাম, সময়ে কাজ, সময়ে উপাসনা, এইরূপ নিয়মাধীন রাখিয়া শৃঙ্খলামত কাজ করিতে আরম্ভ করিলে তাহারা সেই ভাব লইয়া গিয়া চারিদিকের ব্রাহ্মপরিবারে ব্যাপ্ত করিতে পারে। এই ভাব লইয়া তিনি ভারতাশ্রম স্থাপন করিলেন। তঁহার অনুগত প্রচারকগণ সর্বাগ্রে গেলেন । তৎপরে আমরাও অনেকগুলি পরিবার বাহির হইতে গেলাম। আমরা কেশব বাবুর মনের ভাবটা কাজে করিয়া দেখিবার জন্য কৃতসংকল্প হইলাম । ভারতাশ্রম স্থাপিত হইলে কেশব বাবু কলুটোলার বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া আমাদের সঙ্গে আসিয়া থাকিতে লাগিলেন । কলিকাতা ১৩ নং মির্জাপুর ষ্টুট ভবনে (বর্ত্তমান সিটী স্কুলের ভূমিস্থিত ভবনে) প্রথমে কিছুদিন থাকিয়া, সহরের বাক্তিরে কোন কোনও বাগানে গিয়া থাকা হয়। প্রথম বেলঘরিয়ায় এক বাগানে, তৎপরে কঁকুড়গাছির এক বাগানে কিছুদিন যাওয়া হয়। এই সকল স্থানে গিয়া আমরা কেশব-বাবুর বিমল সহুবাসে থাকিবার অবসর পাইলাম। স্বীয় স্বীয় ব্যয়ের অংশ দিয়া সকলে একায়ভুক্ত পরিবারের ন্যায় থাকি তাম। একসঙ্গে খাওয়া, একসঙ্গে বসা, একসঙ্গে বেড়ান-সুখেই কাল কাটিত । সহরে বঁাহাদের কাজ থাকিস্ত, তাহারা দিনের বেলায় সঙ্গরে গিয়া কাজ করিয়া আসিতেন। sLDLL LLLL KLL0 LBBOS D S0S DBDS BDBK ES আমরা সকল বিষয়েই কেশববাবুর পরামর্শ ও সদুপদেশ পাইতাম । সে সময়ে তাহার ও তঁহার পত্নীর যে সাধুতা ও ধর্ম্মনিষ্ঠা দেখিয়াছিলাম তাহা জীবনে ভুলিবার নয়। প্রতিদিন দুপুরবেলা আশ্রমবাসিনী মহিলাদিগকে লইয়া স্কুল করা হইত। আমি ঐ স্কুলে পড়াইতাম ।