পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ QV)J লািম আমাকে ঘেরিয়া লইতে লাগিল ; আমার ধ্যানে জ্ঞানে প্রবেশ করিতে লাগিল ; আমি স্কুলের কাজেও ভাল করিয়া মন দিতে অসমর্থ হইতে লাগিলাম। কি করি কি করি এই চিন্তাতে কয়েক দিন গেল। BD DD DD DBB DBDDD DBB K D DD DB BS যাইতে পারি না। এই উদ্বেগের মধ্যে হজমশক্তি খারাপ হইয়া শরীর দুর্বল হইয়া পড়িতে লাগিল। অবশেষে আমার চিরদিনের বিপদের বন্ধু যে ঈশ্বরের চরণে প্রার্থনা তাহার শরণাপন্ন হইলাম। জীবনের প্রধান প্রধান সঙ্কটে ব্যাকুল প্রার্থনা আমার জন্য আলোক আনয়ন করে, আমি ঈশ্বরের বাণী শুনি। একদিন বড় ব্যাকুল হইয়া প্রার্থনা করিতে বসিলাম । সে প্রার্থনার মর্ম্ম এই-“নিষিদ্ধ প্রণয়ে আসক্তা নারী যেমন তাহার প্রেমাস্পদের জন্য পিতা মাতা গৃহ পরিবার আত্মীয়স্বজন সকল ছাড়িয়াও আপনার অলঙ্কারের বাক্সটি সঙ্গে লয়, কিন্তু আবশ্যক হইলে তাহাও পথে ফেলিয়া চলিয়া যায়, তেমনি আমি সকল ছাড়িয়াও যেটা ধরিয়া আছি, হে ভগবান, আবশ্যক হইলে সেটাও ছাড়াইয়া আমাকে লইয়া যাও।” এই প্রার্থনার পর “ছাড়” “ছাড়” বাণী আমাকে অস্থির করিয়া তুলিতে লাগিল। বন্ধুগণের অনেকে নিষেধ করিতে লাগিলেন, কিন্তু আমি যে আর বিলম্ব করিতে পারি না। একটা দিন যায়, যেন এক বৎসর যায়। মার্চের শেষ পর্য্যন্ত অপেক্ষা করিলে সে বৎসরের বোনাস (Bonus) স্বরূপ স্কুলফণ্ড হইতে অনেকগুলি টাকা পাইতে পারিতাম। শিক্ষক বন্ধুগণ সেজন্য বারবার অপেক্ষা করিতে বলিতে লাগিলেন, কিন্তু অন্তরের বাণী অপেক্ষা করিতে দিল না। ১৫ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষাবিভাগের ডিরেকটারের হন্তে পদত্যাগপত্র দিয়া বঁচিলাম। ১লা মার্চ হইতে স্বাধীন হইয়া এই আন্দোলনে ডুবিলাম। তদবধি ঈশ্বর আমার ভার সমুচিতরূপে বহিয়া আসিতেছেন।