পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ । আমি ইংলেণ্ডে আসিয়াই এই চিন্তায় প্রবৃত্ত হইলাম যে ইংরেজ জাতি এত অল্পসংখ্যক হইয়াও কিরূপে এত বড় বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের উপরে রাজত্ব DBB SS g BDuBD DDD DDBBDB BDBD DBD DBDBDD DBB সে মূল কি তাহা একবার দেখিতে হইবে। ·N তঁহাদের জাতীয় চরিত্রের যে যে গুণ আমার প্রশংসনীয় বলিয়া বোধ হইতে লাগিল, তাহা এই। প্রথম, তঁহাদের জাতীয় চরিত্রে যেমন একদিকে স্বাতন্ত্র্য-প্রবৃত্তি ও স্বাবলম্বন-শক্তি আছে, তেমনি অপর দিকে সাধুভক্তি ও বাধ্যতা আছে। এই উভয়ের সমাবেশ অতীব আশ্চর্য্য। প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়িতাম, আর এদেশের সহিত একটা বিষয়ে পার্থক্য মনে হইত। এদেশে থাকিতে সকল বিষয়ে মানুষকে গভর্ণ, মেন্টের দোহাই দিতে দেখিতাম, দুর্ভিক্ষ আসিতেছে গভর্ণমেণ্ট দেখিবেন, জলপ্লাবন হইয়াছে গভর্ণমেণ্ট দেখিবেন, নিয়শ্রেণীর শিক্ষা হইতেছে না। গভর্ণমেণ্ট দেখিবেন, সুরাপান বাড়িতেছে গভর্ণমেণ্ট দেখিবেন, ইত্যাদি। সেখানে গিয়া দেখিলাম গভর্ণমেণ্ট কোণঠাসা, গভর্ণমেণ্টের খোঁজ খবর বড় পাওয়া যায় না, সব কাজ প্রজারাই করিতেছে, গভর্ণমেণ্ট কোন কোন বিষয়ে সহায় মাত্র। প্রজারা প্রকাশ্য সভাদিতে গভর্ণমেণ্টকে অবাক্য কুবাক্য বলিতেছে ; পালেমেণ্ট সভাতে তঁহাদের নাকের সম্মুখে ঘুষি ঘুৱাইতেছে ; একদিকে এই স্বাতন্ত্র্য-প্রবৃত্তি ও স্বাবলম্বন, অপরদিকে যে কোনও কাজ দশজনে মিলিয়া করিতেছে, সেই কাজেই দেখা যাইতেছে যে যাহার প্রতি যে কাজের প্রধান ভার প্রদত্ত হইতেছে, অপরের সেই