পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ । কলিকাতায় আসিয়া,যে যে কাজে প্রবৃত্ত হইলাম, তাহার মধ্যে চারিটি স্মরণীয়। প্রথম, আসার কিছুদিন পরে ইংলণ্ডে মিষ্টার ভয়সীর চর্চের একজন সভ্য মিষ্টার ব্লেকার (যিনি কোলনার কোম্পানির অধীনে কোনও কর্ম্ম করিতেন ) নামে একজন ইংরাজ ভদ্রলোক আমার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য পত্র লিখিলেন । তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইয়া স্থির ভাইল যে কলিকাতাতে ইংরাজ ও ফিরিঙ্গী একেশ্বরবাদীদিগের জন্য একটা উপাসক মণ্ডলী স্থাপন করা হইবে ; এবং উপাসনার ভার আমার প্রতি থাকিবে। তদনুসারে মিষ্টার ব্লেকার টাকা তুলিয়া লালদীঘির দক্ষিণবর্ত্তী ডালহৌসী। ইনষ্টিটিউট রবিবার প্রাতের জন্য ভাড়া লইয়া উপাসনার বন্দোবস্ত করিলেন। আমি আচার্য্যের কার্য্য করিতে আরম্ভ করিলাম। আমি মিষ্টার ভয়সীর প্রকাশিত ও তঁাহার লণ্ডনস্থ উপাসনামন্দিরে ব্যবঙ্গত প্রার্থনাপুস্তক হইতে আরাধনা প্রার্থনা প্রভৃতি পাঠ করিতাম এবং একটা উপদেশ লিখিয়া পড়িতাম । এ উপদেশের অনেকগুলি ইণ্ডিয়ান মেসেঞ্জার নামক কাগজে প্রকাশিত হইয়াছে। মিষ্টার ব্লেকারের উপাসকমণ্ডলী ক্রমে ড্যালহৌসী ইনষ্টিটিউট হইতে অনেক স্থানে ভদ্রলোকের বাড়ীতে বাড়ীতে উঠিয়া যায়, এবং কয়েক বৎসর নিয়ম-মত তাহার কার্য্য চলে। অবশেষে মিষ্টার ব্লেকার কার্য্যগতিকে স্থানান্তরিত হওয়াতে তাহা উঠিয়া যায়। উপাসকমণ্ডলী চালাইয়া দেখিতে পাইলাম যে প্রধানতঃ যাহাদের জন্য তাহা স্থাপন করা হইয়াছিল, তাহারা বড় আসিতেন না। অল্পই ইংরাজ বা ফিরিঙ্গী আসিতেন। প্রধানতঃ বিলাতফেরত লোকেরাই * যোগ দিতেন। যাহা হউক, তাহাও রহিল না।