পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রচারকাষে জীবন দেওয়ার বিষয়ে তাঁহার সম্পপণ্য সায় ছিল, কিন্তু আমার একটা BB DD DBBDD BB DD BB DD DDD D DBB DBDB DDBBS হিন্দী রাজপরিবারে কেশবচন্দ্রের কন্যাবিবাহ। এইরপে কিছদিন অতিবাহিত হইতে না হইতে কুচবিহার বিবাহের ঝটিকা উপস্থিত হইল, এবং উন্নতিশীল ব্রাহাম্মদল ভাঙিয়া দখান হইয়া গেল। ১৮৭৮ সালের জানায়ারির প্রারম্ভে কুচবিহারের ম্যাজিসেন্ট্রট, আমার প্রাচীন পরিচিত যাদবচন্দ্র চক্রবতী মহাশয়, নাবালক রাজার বিবাহের বিষয়ে সমাদয় কথা স্থির করিবার জন্য ভারপ্রাপতি হইয়া কলিকাতাতে আসিলেন। কাশীর সম্প্রসিদ্ধ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার লোকনাথ মৈত্র মহাশয় তখন কলিকাতাতে বাস করিতেছিলেন। বন্ধতাসত্রে আমি মধ্যে-মধ্যে তাঁহার ভবনে যাইতাম, সেখানে যাদববাবার সহিত আমার সাক্ষাৎ হইত। আমি তাঁহার মাখে শানিলাম যে, কেশববাবা কন্যার বিবাহোপযন্ত বয়সের পাবে তাহাকে বিবাহ দিতে রাজি হইয়াছেন। কি-কি নিয়মে বিবাহ হইবে, সেই সকল কথাবাতা চলিতেছে। সে সকল কথাবাতার প্রকৃতি কি, তাহা তিনি আমাকে বলেন নাই। ক্রমে শানিলাম যে, পদ্ধতি স্থির করিবার জন্য কুচবিহার হইতে রাজপরোহিত আসিতেছেন। ক্রমে কি-কি বিষয় স্থির হইল, তাহাও প্রকারান্তরে আমাদের কর্ণগোচর হইল। জানিলাম যে, কন্যার ও বরের বয়ঃপ্রাপিতর পাবেই বিবাহ হইবে, তবে বয়ঃপ্রাপিত পর্যন্ত তাঁহারা সর্বতন্ত্র থাকিবেন। কেশববােব জাতিচু্যত বলিয়া কন্যা সম্প্রদান করিতে পরিবেন না, তাঁহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা কন্যা সম্প্রদান করিবেন। রাজপরিবারের পদ্ধতি অনসারে বিবাহ হইবে, কেবল তাহাতে দেবদেবীর নামের পরিবতে ঈশ্ববরের নাম লিখিত হইবে, রাজপরোহিত বিবাহ দিবেন, ইত্যাদি। আবার ইহাও শানিলাম যে, যাদববাব বিবাহের প্রস্তাব লইয়া দ গামোহন দাস মহাশয়ের ভবনে গিয়াছিলেন। তাঁহার পত্নী ব্রহমময়ী হাসিয়া বলিয়াছিলেন, “না না, আমার মেয়ের রাজারাজড়ার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে না। প্রথম তো ছেলে অপ্রাপতবয়স্ক, তার পর রাজারাজড়ার সঙ্গে বিবাহ সম্পবিন্ধ ভালো নয়, আমার ছেলেমেয়েরা রানী-বোনের সঙ্গে ভালো করে মিশতে পারবে না।” যাদববােব সেখান হইতে নিরাশ হইয়া আসিয়া কেশববাবার কাছে গিয়াছেন। এই সংবাদে কলিকাতার ব্রাহামদলের মধ্যে মহা আন্দোলন উপস্থিত হইল। আমরা স্থির করিলাম যে, এই সঙ্কটে ব্রাহাসমাজের অবলম্পিাবত সত্য সকলকে জোর করিয়া ধরা আমাদের কতব্য, এবং তাহা করিবার জন্য কেশববাবার কায্যের প্রতিবাদ করা কতব্য। যে কেশববাব মহা আন্দোলনের পর ১৮৭২ সালের ৩ আইনে বর-কন্যার বিবাহের বয়স নির্ধারণ করিয়া দিয়াছেন, তিনিই তাহা ভাঙিতে যাইতেছেন, ইহা কেমন কথা ? সতরাং এই সময়ে ব্রাহমসমাজের অবলম্পিাবত কাব্যপ্রণালী রক্ষা করিবার জন্য জোরে দাঁড়ানো কতব্য। কিন্তু তৎপর্বে বন্ধভাবে একবার কেশববাবার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সমন্দিয় কথা তাঁহার প্রমখাৎ শনিবার চেন্টা করা উচিত। তদনসারে ২রা ফেব্রুয়ারি আমরা তিনবন্ধ মিলিয়া কেশববাবার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলাম। যাইবার দিন শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযক্ত প্রতাপচন্দ্র মজমিদার মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যাই। তিনি বিশেষ কোনো সংবাদ দিতে পারিলেন না, বলিলেন, “আমি সবে বোম্বাই হইতে আসিয়াছি, আমি কোনো সংবাদ জানি না। তোমরা কেশববাবার কাছে যাও, আমিও পশ্চাতে আসিতেছি।” আমরা গিয়া কেশববাবার সহিত কথা কহিতেছি, SS S)