পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেয়েদের জন্য পত্তিক রচনাতে প্রবত্ত হইতেন। আমি বার-বার সতক কারিতাম, তাহাতে কর্ণপাত করিতেন না। এরপ। শ্রম আর কতদিন সয়? একদিন বিকে এক প্রকার বেদনা হইয়া গোঁসাইজী অচেতন হইয়া পড়িলেন। সেই বাকের ব্যথা থাকিয়া গেল। তাহা নিবারণের জন্য বহন মাত্রাতে মরফিয়া সেবন ভিন্ন উপায় রহিল না। এজন্য অতিরিক্ত মাত্রাতে মরফিয়া সেবন করা গোঁসাইজীর অভ্যস্ত হইয়া গেল। সেই মরফিয়ার মাত্রা ক্রমে অসম্পভব রাপে বাড়িয়াছিল। ইহার পরে গোঁসাইজী বাঘআচড়া গ্রামকে তাঁহার প্রধান কাব্যক্ষেত্রে করিয়া সেখানে অধিকাংশ সময় বাস করিতেন। বাঘআঁচড়া হইতেই তিনি কুচবিহার বিবাহের প্রতিবাদ করেন। তদনন্তর সাধারণ ব্রাহামসমাজের সন্থাপনকতাদিগের সহিত তাঁহার যোগ হয়। তিনি আমাদের প্রথম ও প্রধান প্রচারক হইলেন। 曲 বিদ্যারত্ন ভায়া পাব হইতেই আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়া কায করিতেছিলেন। তিনি ব্রাহমাধ্যমে দীক্ষিত হওয়ার পর তাঁহার পত্নী তাঁহার সঙ্গে আসিলেন না। তাঁহার শব্বশর একজন প্রসিদ্ধ তান্ত্রিক সাধক ছিলেন, এবং বিষয়ে নিলিপিত হইয়া সথানে-সন্থানে ভ্রমণ করিতেন। তিনি বোধ হয় বালিকা কন্যাকে ব্রহভজ্ঞানীর সঙ্গে আসিতে দিলেন না। যে কারণেই হউক, তাঁহার পত্নী জ্ঞানদা। অনেক বৎসর আমাদের কাছে আসেন নাই। সতরাং বিদ্যারত্ন ভায়া নিজ শবশরের ন্যায় সবাধীন ভাবে নানা সন্থানে ব্রাহমাধ্যম প্রচার করিয়া ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। সমাদশী দলের সহিত কেশববাবর দলের মিশ খাইতেছে না দেখিয়া তিনি আর সে দিকে ঘোষিলেন না, সবাধীন ভাবেই কায করিতে লাগিলেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ তাঁহাকে বিশেষ অনগ্রহ করিতেন। ও তাঁহাকে সাহায্য করতেন। সাধারণ ব্রাহসমাজ সংস্থাপিত হইলে তিনি ইহার গ্রন্থ প্রচারকদিগের মধ্যে একজন হইলেন, সুতরাং তাঁহাকেও মনােনীত করা বাবা গণেশচন্দ্র ঘোষ ইতিপবে আসামে বিষয় কাযে লিপত ছিলেন। এই সময় বিষয় কার্য হইতে অবসত হইয়া স্বাস্থ্য লাভের উদ্দেশ্যে মঙ্গের শহরে আমার পরিবারগণের সহিত বাস করিতেছিলেন। সাধারণ ব্রাহামসমাজ সন্থাপিত হইলে, তাঁহারও প্রচারক দলে প্রবেশ করিবার ইচ্ছা হইল। তিনিও মনোনীত হইলেন। বেহারী এক্কায় প্রচার যাত্রা। প্রচারক পদে মনোনীত হইয়াই আমরা নানা দিকে প্রচার কাব্যর্থ বহি গতি হইয়াছিলাম। ২৪শে মে ১৮৭৮ তারিখে আমি বেহার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে যাত্রা করি। প্রসন্নময়ী ও বিরাজমোহিনী তখন সন্তানদিগকে লইয়া মঙ্গেরে বাস করিতেছিলেন, আমি প্রথমে সেখানে গেলাম। সেখানে দ্বারকানাথ বাগচী নামে একজন সাগায়ক ব্রাহাম বন্ধ ছিলেন। তাঁহাকে সঙ্গে লাইলাম। তিনি আমার অন্যারোধে বিষয়কম হইতে ছটি লইয়া আমার সমভিব্যাহারে যাত্রা করিলেন। আমরা সে বারে কোন-কোন সথানে কি-কি বিশেষ কাজ করি, তাহার সকল সমরণ নাই। বোধ হয়। অন্যান্য সন্থানের মধ্যে উত্তর বেহারের নেপাল-প্রান্তবতী মতিহারী শহরে গিয়াছিলাম। তখন মতিহারী যাইবার রেল ছিল না। মজঃফরপর হইতে ৫o মাইল এক্কা চড়িয়া যাইতে হইত। এই আমার প্রথম এক্কা-গাড়িতে চড়া। দেখিলাম, এই এক্কা-গাড়ি এক অদভূত যান; একটা ঘোড়াতে টানে, চালকের পশ্চাতে আরোহীর বসিবার আসন, সে একজন-যোগ্য আসন, দইজনের ভালো সস্থান সমাবেশ হয় না। আসনের উপরে ঠাকুর-চৌকির চড়ার ন্যায় একটা আচ্ছাদন, তাহাতে জল Sca