পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপর কেহ প্রশন করিলে আমি উত্তর দিব না; প্রশন করিতে হইলে আমার বা তাঁহার স্বারা করিতে হইবে; একজনের বক্তব্য শেষ না হইলে আপরে কথা কহিবেন না। অতঃপর বিচারটা ধীরে ধীরে চলিল। সেদিনও শেষ হইল না। স্থির হইল যে পরদিন স্কুলের মাঠে সন্ধ্যার সময় বিচার হইবে। তৎপরদিন আবার সকল সম্প্রদায়ের লোক স্কুলের মাঠে সমবেত হইল। চন্দ্রালোকে ঘাসের উপর বসিয়া বিচার চলিল। এরপ বিচারে কি কিছ স্থির হয় ? উভয় পক্ষের কেহই ছাড়িবার নহে। অবশেষে রাত্রি ১১টার সময় অভ্রান্ত-শাস্ত্র পক্ষীয়েরা ‘স্বামীজীকী জয়’, ‘স্বামীজীকী জয়’, করিয়া চোচাইয়া উঠিল। তাহাতে আমার দলের কে একজন বলিয়া উঠিলেন, “কুত্তোঁকো ভৌকনে দেও৷ ” এই কথা স্বামীর দলের লোকের কণগোচর হইবামাত্র তাহারা লাঠি-সোটা লইয়া মারিতে উদ্যত । তখন ফণীন্দ্র যতি ও আমি মাঝখানে পড়িয়া থামাইয়া দিলাম। ইহার পর দই-একদিনে ফণীন্দ্র যতির সহিত আমার আলাপ ও আত্মীয়তা জন্মিল। আমি কখনো কাশীতে গেলে তাঁহার সহিত দেখা করিবার জন্য অনরোধ করিয়া গেলেন। সাধারণ ব্রাহমসমাজের মন্দির সম্পপণ করা। মতিহারী হইতে কলিকাতা ফিরিবার কয়েক মাসের মধ্যেই আমার প্রতি এক মহা কাজের ভার পড়িয়া গেল। সেটি অধৰনিমিত উপাসনা মন্দিরটিকে সম্পপণ করিবার উপায় বিধান করা। ১৮৭৯ সালের প্রারম্ভে মন্দিরের ভিত্তি পথাপিত হয়। তখন আনন্দমোহন বসার শবেশীর ভগবানচন্দ্র বস মহাশয় ছটিতে ছিলেন। তিনি দয়া করিয়া ঐ মন্দির নিমাণ কায্যের ভার লইতে DDB S BSDD DBB DBBB BBBDB DDDBB uuDD D DD DBB পাল্যান প্রভৃতি করিয়া দিয়া বিশেষ সাহায্য করিতে লাগিলেন। নিমাণ কাব্য অগ্রসর হইতে লাগিল । ১৮৮০ সালের মাঘোৎসব অধৰ নিমিত মন্দিরের মধ্যেই সম্পন্ন হইয়াছিল। তখন আশা করা গিয়াছিল যে, ১৮৮১ সালের মাঘোৎসব সমাধাপ্রাপত মন্দিরের মধ্যেই হইবে। কিন্তু ১৮৮০ সালের আগস্ট মাসে দেখা গেল যে অবশিস্ট কয়েক মাসের মধ্যে অবশিস্ট কায শেষ হওয়া কঠিন। ভগবানবাবরে উদ্ভাবনী শক্তি বড় প্রবল ছিল। তাঁহার মাথাতে অনেক পরামর্শ আসিত। এজন্য নানা কাজের সন্টি করিয়া তিনি অনেকবার ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছিলেন। মন্দিরের নিমাণ কাব্য হাতে লইয়া তিনি ভাবিলেন যে, নেপাল তরাই হইতে শাল কাঠ আনাইলে সস্তা হইতে পারে। তদনসারে নেপাল তরাইয়ে শাল কাঠের অডার দিয়াছিলেন। সে কাঠ কয়েক মাস ধরিয়া নানা নদ নদী দিয়া ভাসিয়া আসিবে, কাজেই বিলম্ব হইতে লাগিল। অবশেষে কাঠ যখন আসিল, তখন তাহার অনেক কাঠ কম মজবত বোধ হইল। কি করা যায়, কি করা যায়, করিতে করিতে দিন যাইতে লাগিল। ওদিকে ভগবানবাব স্থানান্তরে যাইতে বাধ্য হইলেন । তখন কমিটি অনন্যোপায় হইয়া গরচরণ মহলানবিশ ও আমার প্রতি মাঘোৎসবের পাবে মন্দির নিমাণ কায শেষ করিবার ভার দিলেন। আমি এরােপ কাযে। সক্ষপণ অনভিজ্ঞ, কি করিতে হইবে বন্ধিতেই আসে না, মহা চিন্তায় পড়িয়া গেলাম। অবশেষে রাত্রে শয়ন করিয়া ভাবিতে ভাবিতে এক পরামর্শ মনে পড়িয়া গেল। আমি যখন ভবানীপার সাউথ সবাবান স্কুলের হেডমাস্টার ছিলাম, তখন চব্বিশ পরগণার ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার সম্প্রসিদ্ধ রাধিকাপ্রসাদ মািখয্যে মহাশয়ের Na b’N