পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্দিরে বড়-বড় কথা বলবার ফল কি ?” আমার দঃখ দেখিয়া একজন ব্রাহ বলখ সেই প্রাতেই রাস্তা হইতে এইরহপ একটি বালক ডাকিয়া আমার নিকট আনিলেন। সে প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করিতে চায় না। ওরােপ জাতিভ্রষ্ট বালকদের ভদ্রলোকদের বাড়িতে প্রবেশ করিবার অধিকার নাই, এই সংস্কার থাকাতে সে ইতস্তত করিতে লাগিল। অনেক বলতে বাড়িতে প্রবেশ করিয়া উঠানে আসিল। আমি উপরে আসিবার জন্য কত ডাকিলাম, কোনো মতেই আসিল না। অবশেষে খাইতে দিবার জন্য একখানি আপাম লইয়া নিচে গেলাম। আমি বলিলাম, “হােত পাত।” হাত পাতিল, কিন্তু আমি যখন আপাম দিতে গেলাম, তখন পাছে হাতে-হাতে ঠেকাঠেকি হয়। এই ভয়ে হাত সরাইয়া লইল। তখন আমি তাহার হাত ধরিয়া হাতে আপমখানা দিলাম, এবং তাহাকে টানিয়া উপরে লইয়া গেলাম। একটি ছোট ঘর দেখাইয়া দিয়া বলিলাম, সে ঘরে সে রাত্রে থাকিবে; এবং যে বাড়িতে আমি খাই সে বাড়িতে খাইতে পাইবে। এই বলিয়া চাকরের হাতে তাহাকে দেখিবার ভার দিয়া, বন্ধর বাড়িতে আহার করিতে গিয়া, তাঁহার পত্নীকে সমাদয় বিবরণ। বলিয়া, তাহাকে খাইতে দিবার জন্য অনরোধ করিলাম। তিনি স্বীকৃত হইলেন। ছেলেটি কিছদিনের মতো আমার কাছে থাকিয়া গেল । আমি নিশিচন্ত আছি যে সে যথা সময়ে আহার পাইতেছে। কিন্তু একদিন প্রাতে কোনো কাজে বাহির হইয়া বাড়িতে ফিরিতে ফিরিতে অনেক বিলম্ব হইল। আমার আহারের নিদিলন্ট সময় উত্তীণ হইয়া গেল। আমি আহার করিতে গিয়া দেখি, বাহিরের দরজার সম্মখে রাস্তার উপরে একখানা পাতে কুকুরের মতো ছেলেটাকে ভাত দেওয়া হইয়াছে, সে বসিয়া আহার করিতেছে। দেখিয়া ভিতরে গেলাম। আহারে ভাত দেওয়া হয় কেন ?” তিনি হাসিয়া বলিলেন, “ওর যে জাত গেছে। ও শ্রেণীর লোক ভদ্রলোকের বাড়িতে প্রবেশ করতে পায় না। ওরা সকলেই তো রাস্তায় খায়।” তাহার পর তাঁহার সঙ্গে যে কথোপকথন হইল, তাহা এই-- আমি। তুমি কি মনে কর, আমার জাত গেছে কি আছে ? তুমি তো জানো, আমি সকল জাতির বাড়িতে খাই। কতদিন তোমাকে বলে গিয়েছি, আমাক ফিরিঙ্গীর বাড়িতে আমার নিমন্ত্রণ আছে, আমার ভাত কোরো না। যে ব্যক্তি ব্রাহরণ হয়ে পৈতা ত্যাগ করে এবং যার তার বাড়ি খায়, তার কি জাত থাকে ? তবে আমাকে তোমার নিজের ঘরের ভিতর খেতে দাও কেন ? বন্ধপত্নী (হাসিয়া)। আপনার কথা সর্বতন্ত্র। আপনি যা করেন। তাই শোভা পায়। আপনি ব্রাহমাণই আছেন। আমি। ওটা তোমার ভালোবাসার কথা। আমার বন্ধপত্নীর আমার প্রতি এই অতিরিক্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পরিচয় অলপ দিনের মধ্যেই পাইলাম। কয়েকদিন পরে তিনি তাঁহার জ্যোিঠা কন্যাকে আমার DD DDDD DDBDS DBDBB BBDu BDBDD BBD BB DS DBBBB DBD DBBBS তাহাকে এমন কিছ ঔষধ দিতে হইবে, যাহাতে সন্তান রক্ষা পায়। আমি হাসিয়া DDBBDSDBDD BD uB BBDDS gB BBD D DB S DD DDBBDSDBBD ওর মাথায় হাত দিয়া আশীবাদ করন, এবং পদধলি দিন, তাহলেই ওর সন্তান রক্ষা হবে।” যিনি জাতিভ্রন্ট ছেলেকে রাস্তায় কুকুরের মতো ভাত দিতেছিলেন, অপরদিকে তাঁহার এই নির্ম্মঠা দেখিয়া আমি আশচযান্বিত হইলাম। ܠܬܬܬ