পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একদিকে চলিয়া যাইতেছে। তাহার পর কিয়ন্দর অগ্রসর হইলে আর এক বিঘর উপস্থিত হইল। দেখি, এক দল নিম্পন্ন শ্রেণীর লোক মদ খাইয়া, ঢোল প্রভৃতি বাজাইতে বাজাইতে ও চীৎকার করিতে করিতে হাড়মড় করিয়া আমাদের উপরে আসিয়া পড়িল। আমি সঙ্গীদিগকে বলিলাম, “ওদের যাবার পথ ছেড়ে দাও, তোমাদের গান চলক, ওদিকে চেয়ে দেখ না।” তাহারা পথ পাইয়া চলিয়া গেল। আমরা আবার অগ্রসর হইলাম। শেষে আমরা একটা চৌরাস্তায় গিয়া উপস্থিত। আমি বলিলাম, “দাঁড়িয়ে খব। কীন্তন কর, দেখি ওরা কত ক্ষণ দ্বার বন্ধ করে থাকে।” কীতািন খােব জমিয়া গেল। অন্যে না শনাক, আমাদের কঠিন হদয়, আদ্র হইতে লাগিল। শেষে দেখি, খট করিয়া একটা বাড়ির দরজা খলিল ও কয়েকজন লোক BDD DBDBD DBD DDDD SS uBLEBB BB BBBS DBDDB BBBD DDD DKD খলিল, আবার কয়েকজন লোক আসিয়া দাঁড়াইল। এইরূপে দেখিতে দেখিতে বহীসংখ্যক লোক আমাদিগকে ঘিরিয়া ফেলিল। তখন আমি বলিলাম, “আমাকে gBB Buu DBB sB BDDBDB LBDS DBDD BDS DBDB E S BBBD DDDD DDD নিকটস্থ কোনো এক বাড়ি হইতে একটা খালি কেরোসিনের বাক্স আনিয়া দিলেন, আমি তাহার উপরে উঠিয়া বস্তৃতা আরম্ভ করিলাম-তোমরা দ্বার দিয়ে ছিলে কেন ? ভগবানের নাম শািনবে না ? ভগবানের সঙ্গে কি তোমাদের বিবাদ আছে ? তিনি তো সকলের প্রভু, সকলের পরিত্রাতা, ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন জোরে ও সযক্তিপণ ভাষাতে বস্তৃতা অলপই করিয়াছি। দেখিলাম, তাহদের অনেকের চক্ষে জলধারা বাহিতে লাগিল। আমরা মহোৎসাহে কীন্তন করিতে করিতে সমাজ ঘরে আসিলাম । গ্রামবাসীদের অনেকে আমাদের সঙ্গে-সঙ্গে সমাজ মন্দিরে আসিল। তৎপরে জমিদারবাবদের ভাব বদলাইয়া গেল। তাঁহারা আমাদিগকে নিমন্ত্রণ করিয়া খাওয়াইলেন। আমরা ঈশ্ববরের কারণার জয় গান করিতে করিতে কলিকাতায় ফিরিলাম। পরে শনিয়াছি যে, জমিদারগণ আমাদের খাওয়া বন্ধ করিতেছেন শনিয়া গ্রামের নারীগণ দয়া করিয়া গোপনে গোপনে আমাদের খাবার পাঠাইতেছিলেন। সাধে আমি নারীকুলের এত গোঁড়া! কেশবচন্দ্রের অবগারোহণ। ১৮৮৪ সালের প্রথম ভাগে ব্রহমানন্দ কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় সবগারোহণ করেন। ইহার কিছদিন পাবে তাঁহার বহরমাত্র রোগ ধরা পড়ে। আমরা ভারতবষীয় ব্রাহামসমাজ ও ব্রহমমন্দির হইতে তাড়িত হওয়ার পর তাঁহার কাজ অত্যন্ত বাড়িয়া যায়। ভগনপ্রায় সমাজকে দন্ডায়মান করিবার জন্য তাঁহাকে ভয়ানক পরিশ্রম করিতে হয়। তৎপরে আমাদের শেলাষ কটক্তি প্রভৃতিতে তাঁহার মানসিক দঃখ অতিমাত্রায় বধিত করে। আমরা চলিয়া আসিবার অলপদিন পরেই তাঁহার ব্রেন ফীভার হইয়া তিনি বহদিন শয্যাসপেথ থাকেন। তৎপরে যদিও অসাধারণ মানসিক বল ও উৎসাহের প্রভাবে উঠিয়া কাষারম্ভ করেন, তথাপি বার-বার পীড়িত হইতে থাকেন। এই সকল শারীরিক ও মানসিক পীড়ার মধ্যে আবার নববিধানের অভু্যদয় করিয়া তাহার প্রচার ও পন্টি সাধনে দেহমানের সমন্দিয় শক্তি নিয়োগ করেন। অন্যভব করি, এই সকল কারণে তাঁহার বহুমন্ত্র রোগের সঞ্চার হয়। প্রথমে তাঁহার নিকটস্থ বন্ধগণ ঐ রোগের সম্প্রচার অনভব করিতে পারেন। নাই। অবশেষে রোগ যখন ধরা পড়িল, তখন সকল সম্প্রদায়ের ব্রাহামগণ সন্ত্রসঙ্গত হইয়া পড়িলেন। নববিধানী বন্ধগণ স্বীকার করুন। আর নাই করুন, আমরাও তাঁহার রোগ ܬܬܣ