পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাহের নারীগণের পাঠের জন্য মডীর সম্প্রসিদ্ধ পােস্তকালয় হইতে এক তাড়া বই আনিতে হইত। সপতাহকাল গহের তিন কন্যা ও তাহদের মাতা ঐ সকল পদািতক পাঠ করিতেন। সেগলি ফিরাইয়া দিয়া আবার সোমবার নাতন পস্তক আসিত। কোনো দিন সায়ংকালীন আহারের পর মহিলাদের বসিবার ঘরে যদি উকি মারিতাম, দেখিতাম যে তাঁহারা সকলেই পাঠে গভীর নিমগন আছেন। এই পাঠ রাত্রি ১১টা ১২টা পর্যন্ত চলিত। গহস্বামীর বড় মেয়েটি ভোজনের সময় আমার পাশে বা ভোজনে বসিতেন। আমি ইংরাজ কবি শেলি ও ওয়ার্ডসওয়ার্থের ভক্ত, ইহা দেখিয়া তিনি আমাকে শেলির অনেক কবিতা মাখে-মখে আবত্তি করিয়া শনাইতেন; এবং শেলির প্রতিভার প্রশংসা করিতেন। আমি একদিন এডুইন আণ লেন্ডর লিখিত ‘ইন্ডিয়ান আইডিলস’ নামক কবিতা পস্তক কিনিয়া আনিয়া মেয়েটিকে উপহার দিলাম। বলিলাম, “এই কবিতাগলি তুমি পড়; পরে তোমার মাখে শনিব, আমাদের দেশের প্রাচীন কবিতা তোমার কেমন লাগিল।” ঐ গ্রন্থে রামায়ণ মহাভারত হইতে সাবিত্রী চরিত প্রভৃতি অনেক উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট বিষয় সন্নিবিল্ট আছে। মেয়েটি পস্তকখানি পাইয়াই সেই রাত্রে প্রায় ১টা ২টা পর্যন্ত পড়িল। তৎপর দিন প্রাতে আহারে বসিয়া আমাকে বলিল, “ও মিস্টার শাস্ত্রী, তোমাদের সাবিত্রীর ছবি কি সন্দির! কি সন্দির! কত দিন পবে। এ ছবি আঁকা হয়েছে?” আমি হাসিয়া বলিলাম, “যীশ, জন্মাবার দই-চারিশত বৎসর পাবে কি পরে, ঠিক বলিতে পারি না।” তখন মেয়েটি বলিল, “যে জাতি এতদিন পবে এই সৌন্দর্য সন্টি করেছে, সে জাতি তো সামান্য জাতি ୩୫ ।' ইংলন্ডে বাসকালে আমি ব্রাহমসমাজের একখানি ইতিবত্ত লিখিতে প্রবত্ত হইয়াছিলাম। আমি যাহা লিখিতাম, তাহা কুমারী কলেটকে পড়িয়া শনাইতাম । ব্রাহমসমাজের ইতিবত্ত বিষয়ে তাঁহার মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তি অতি অলপই ছিল। তিনি যাহা সংশোধন করিবার উপযক্ত মনে করিতেন, তাহা সংশোধন করিয়া লওয়া হইত। তৎপরে আমার পস্তক কপি করে কে, এই প্রশন উঠিলে, কুমারী কলেট বলিলেন, “আমি তোমাকে একটি মেয়ে দিচ্ছি, সে তোমার লেখা কপি করে দেবে, তাকে প্রত্যেক একশত শব্দের জন্য এক পেনি করে দিও।” এই বলিয়া সেই মেয়েটির ইতিবত্ত আমাকে কিছ বলিলেন। তাহার মাতার মাতুত্যুর পর তাহার পিতার মতিগতি বদলাইয়া গিয়াছে। পানাসক্তি ও অপরাপর চরিত্রদোষ দেখা দিয়াছে। সে বেচারি বাধ্য হইয়া পিতার ভবন পরিত্যাগ করিয়া অন্যত্র বাসা লইয়াছে। নিজে উপাজন করিয়া খায়, এবং প্রতিদিন দপারবেলায় কয়েকঘণ্টা গিয়া পিতার সঙ্গে বাস করে, ঘর পরিস্কার করে, জিনিসপত্র গছায়, পিতার সেবা করে এবং তাঁহাকে ভালো পথে আনিবার চেন্সটা করে। রাত্রে সে বাড়িতে থাকিতে পারে না। এই যাবতীর বিষয়ে একটি ঘটনা সমরণ আছে, তাহা এই। একদিন সন্ধ্যার সময় মেয়েটি কপি লইয়া আমার নিকট উপস্থিত হইল। তখন আমি বেড়াইতে বাহির হইবার জন্য উদ্যোগ করিতেছি। কপিগলি লইয়া মেয়েটিকে পয়সা দিয়া বলিলাম, “দাঁড়াও, আমি বাহিরে যাইতেছি, দজনে এক সঙ্গে বাহির হইব।” দইজনে বাহির হইলাম। রাস্তাতে আসিয়া বলিলাম, “চল, তোমাদের বাড়ি পর্যন্ত বেড়াইতে বেড়াইতে যাই।” এই বলিয়া তাহার বাড়ির দিকে চলিলাম। সে প্রায় দেড় মাইল পথ। কিন্তু আমরা পথের কথা ভুলিয়া গেলাম। কথা প্রসঙ্গে প্রাচীন য়িহদী জাতির ইতিব্বত্তের বিষয়ে কথা পড়িল। আমি ওল্ড টেসটামেণ্ট ও কিছকাল পাবে প্রকাশিত SRO R ዘ"