পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতার সঙ্গে রামমোহন রায়কে অনেক বার দেখিয়াছেন, রাজার সঙ্গে মিশিয়াছেন, ও তাঁহার আতিথ্য করিয়াছেন। রাজা ও তাঁহার পিতা গত হইলে, তিনি নিজ পিতার নিকটে প্রাপত মন্নিমিত রাজার মস্তক ও তাঁহার মাথার শালের পাগড়ি প্রভৃতি সমিতিচিহ্নগালি সযত্নে রক্ষা করিয়া আসিতেছিলেন। বাধক্যে কবে চলিয়া যান, ইহা ভাবিয়া সেগলি আমার হাতে আপণ করিবার জন্য “আমাকে ডাকিলেন ও সেগলি আমার হাতে আপণ করিলেন। আমি তাঁহাকে ধন্যবাদ করিয়া সেগলি গ্রহণ করিলাম, এবং দেশে লইয়া আসিলাম। দঃখের বিষয়, আমি নানা পথানে বাসা নাড়িয়া বেড়াইবার সময় অপরাপর ছোট ছোট সমাতিচিহ্নগালি হারাইয়া ফেলিলাম। অবশেষে তাঁহার মন্নিমিত মতিটি ও শালের পাগড়িটি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের হসে-ত দিয়াছি, তাঁহারা রক্ষা করিতেছেন। রাজা রামমোহন রায় বঙ্গসাহিত্যের জন্মদাতাদিগের মধ্যে একজন ছিলেন, সতরাং তাঁহার সমিতিচিহ্ন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ মন্দিরে রাখা অতীব কতব্য, এই ভাব মনে আসাতে সমিতিচিহ্নগলি৷ তাঁহাদের হাতে लिझार्गछ । ব্রাহ্মসমাজের ইতিবত্ত লিখিবার সচেনা। আমি ছয়মাস কাল মাত্র ইংলন্ডে ছিলাম। যাহা । যাহা দেখিয়াছিলাম, তদ্ব্যতীত দেখিবার আরও অনেক সস্থান ও বিষয় ছিল। কিন্তু আমার সাকন্ধে গরতের এক কায্যের ভার পড়াতে শেষ কয়েক মাস আমার দেখাশোনার কিছ ব্যাঘাত ঘটিল। সে বিষয়টা এই। ট্রাবনার নামক মদ্রােকর কোম্পানীর ম্যানেজার একদিন কুমারী কলেটের নিকট হস্তলিখিত একখানি পস্তক পাঠাইয়া লিখিলেন যে, সেখানি একজন ভদ্রলোকের লিখিত ব্রাহমসমাজের ইতিবত্ত; তিনি যদি অনগ্রহ করিয়া দেখিয়া সংশোধন করিয়া দেন, তাহা হইলে তাঁহারা ছাপিতে পারেন। কুমারী কলেট পড়িয়া দেখিলেন তাহাতে অনেক সস্থলে ভুল আছে; তাহা না ছাপাই ভালো। এই কথা বলিয়া তাঁহাদিগকে লিখিলেন, “ব্রিাহমসমাজের একজন নেতা এখন এখানে আছেন; তোমরা যদি ব্রাহমসমাজের ইতিবত্ত ছাপিতে চাও, তাঁহার দাবারা লিখাইয়া দিতে পারি।” এই বলিয়া আমাকে ব্রাহামসমাজের ইতিবত্ত লিখিবার জন্য ধরিয়া বসিলেন। আমি তাঁহার অন্যুরোধে তাঁহারই সংগহীত কাগজপত্র লইয়া ইতিহাস লিখিতে বসিলাম। শেষ দই মাস এই কাজে আবদ্ধ छब्लाका । আমি মে মাসে লন্ডনে পৌছিয়াছিলাম, নভেম্বর মাসে সবদেশে প্রত্যাবতন করি। আসিবার সময় দরগামোহনবাবর সঙ্গ পাইলাম না। তিনি পীড়িত হইয়া তৎপবেই পাবতীবাবর সঙ্গে দেশে ফিরিয়াছিলেন। আমি ব্রাহমসমাজের ইতিবত্ত লইয়া ব্যস্ত থাকাতে তাঁহাদের সঙ্গে আসিতে পারি নাই। প্রত্যাবতন। যে ব্রাহমসমাজের ইতিবত্ত লিখিবার জন্য বন্ধবের দরগামোহন দাস মহাশয়ের সঙ্গে পরিত্যাগ করিতে হইল, অচিরকালের মধ্যে সেই ইতিবত্ত লেখাই বন্ধ করিতে হইল। লিখিতে লিখিতে সংবাদ পাওয়া গেল যে, ট্রাবনার কোম্পানী ঐ ইতিবত্ত ছাপিবার সঙ্কলপ ত্যাগ করিয়াছেন। তাঁহারা কি শনিলেন, কি ভাবিলেন, আমরা জানিতে পারিলাম না; কেবলমাত্র কুমারী কলেটকে জানাইলেন যে তাঁহারা সে সঙ্কলপ ত্যাগ করিয়াছেন। তাঁহাদেরই আদেশক্রমে আমার লিখিত অংশ ইন্ডিয়া লাইব্রেরির পস্তকাধ্যক্ষ একজন জমান পন্ডিতকে দেখাইয়াছিলাম। যতদর স্মরণ ミ8や