পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBBB BDB BD D DBBB uDDD DDD DBDBDDDBBD DuB LBBD DDD সঙ্গে করে তোমাদিগকে রিলীফ কমিটির বাবদের কাছে নিয়ে সাহায্য পাবার বন্দোবস্ত করে দেব।” তখন তাঁহার মনে ছিল না যে তৎপরদিনেই আমাদিগকে কলিকাতা যাত্রা করিতে হইবে, এবং সেই হাটবারের দিনই তাঁহাকে স্কুলের শিক্ষকতা করিবার জন্য কলিকাতা উপস্থিত হইতে হইবে এবং অন্যােপস্থিত থাকিলে ছটির দইমাসের বেতন কাটা যাইবে। তখন এইরহপই নিয়ম ছিল। ... ', তৎপরদিন যথাসময়ে শালতি ভাড়া করিয়া দাইজনে কলিকাতার অভিমখে যাত্রা করিয়াছি। আমাদের গ্রাম হইতে প্রায় তিন-চারি মাইল পথ আসিয়াছি, আমি শালতির মধ্যে বসিয়া চারিদিকের মাঠ ঘাট গাছপালা দেখিতেছি, বাবা বাহিরে বসিয়া তামাক খাইতেছেন। হঠাৎ বাবা শালতির ডালিতে আঘাত করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “ওই যাঃ, বড় ভুল হয়েছে। ওরে থাম থাম, ফিরে যেতে হবে।” শালতির চালকগণ জিজ্ঞাসা করিল, “সে কি মশাই ? এত দর এসে ফিরে যাবেন ?” বাবা। হাঁ, ফিরে যেতে হবে, একটা বড় ভুল হয়েছে। তোমরা ভেব না, তোমাদের যা দেব বলেছি, তা দেব। তোমাদের অপরাধ কি ? আমি ভাড়া না করলে তোমরা অন্য ভাড়াটে পেতে । আমি। বাবা, আপনাকে কাল স্কুলে তো উপস্থিত হতেই হবে, তা না হলে দােমাসের মাইনে কাটা যাবে। বাবা। তা কি হবে ? মহেশ কাওরা-রা অনাহারে সপরিবারে মারা যায়। আমি হাটবারে তাদের আসতে বলেছি। সঙ্গে করে নিয়ে রিলীফ কমিটির কাছ থেকে তাদের সাহায্য পাবার বন্দোবস্ত করে দিতে হবে। আমি গরীবদের কাছে কথা দিয়েছি, ভুলে গিয়েছিলাম। এখন মনে হয়েছে, তা ভেঙে যেতে পারি না। আমরা আবার ঘরে ফিরিয়া আসিলাম। বাবাকে পরা শালতির ভাড়া দিতে হইল, স্কুলের বেতন কাটা তো পরে রহিল। সৌভাগ্যক্রমে সে যাত্রা বাবার দােমাসের বেতন কাটার শাসিতটা আর ভোগ করিতে হইল না। বাবা কলিকাতায় আসিয়া, কেন একদিন কামাই হইয়াছিল। তাহার সবিশেষ বিবরণ কর্তৃপক্ষকে লিখিয়া পাঠাইলেন। তাঁহারা তাঁহার প্রতি বিশেষ অনগ্রহের চিহ্ন সম্বরপ আর বেতন কাটিলেন না। তৃতীয় ঘটনা যাহা উক্তজবল রিপে মনে আছে, তাহা এই। বাবা তখন আমাদের গ্রামের হাডিঞ্জ মডেল বাংলা স্কুলে হেড পন্ডিতের কাজ করেন। একবার গবর্ণমেণ্ট স্কুলঘর মেরামতের জন্য বাবার নিকট কিছ টাকা পাঠাইলেন। স্কুলঘর মেরামত হইয়া গেলে কতকগলি শালের খাটি প্রভৃতি বাঁচিল। সেগলি কি করিতে হইবে, অন্য কোনো গ্রামের সঙ্কুল গাহের মেরামতে যাইবে, কি নিলাম করিয়া গবর্ণমেণ্টের হসে-ত টাকা জমা দিতে হইবে, ইহা জানিবার জন্য বাবা গবর্ণমেণ্টকে পত্র লিখিলেন। চিঠির উত্তর আর আসে না। দই-একমাস অপেক্ষা করিয়া অবশেষে বাবা স্কুল গাহের নিকটস্থ পাির্করিণীতে খাটিগলি ডুবাইয়া রাখিতে বলিলেন। সেইরাপ রাখা হইল। কিছদিন পরে আমি যখন গ্রীলোেমর ছটিতে বাড়ি গিয়াছি, তখন একদিন সন্ধ্যাবেলা বাবা ঘরের দাবাতে বসিয়া তামাক খাইতেছেন, এমন সময় একজন গ্রামস্থ ভদ্রলোক দেখা করিতে আসিলেন। সমাগত ব্যক্তি। পন্ডিত মশাই, প্রণাম হই। 决心Q