পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শয্যাতে শয়ান ছিলাম, তখন জননী আসিয়া কিছদিন আমার নিকট ছিলেন। তখন প্রতিদিন প্রাতে নিজের পজা সারিয়া, আমাকে মন্ত্রপাত জল একটি পান করাইতেন, প্রপিতামহের জপের মালা আমার বক্ষে এবং নিজের পদধলি আমার মস্তকে দিতেন। আমার বন্ধগণ। দমিয়া গিয়াছিলেন, কিন্তু আমার জননী দমেন নাই। তখন তাঁহার দঢ়চিত্ততা দেখিয়া সকলেই বিস্মিত হইয়াছিলেন। তিনি বিশ্ববাস করিতেন, তাঁহার প্রাথনা ও আশীবাদে আমি সারিয়া উঠিব। এই সবাভাবিক ধমভােব তাঁহার প্রকৃতির প্রধান লক্ষণ ছিল। তিনি গয়া কাশী বান্দাবন জগন্নাথক্ষেত্রে প্রভৃতি সমাদয় প্রধান-প্রধান তীর্থস্থান পরিদর্শন করিয়াছিলেন, তথাপি পণ্যস্থান দেখিবার আকাঙ্ক্ষা মিটিত না। তাঁহার ধম্যাকাঙক্ষা যেন অসীম छव्न । হািদয়ে মাদ্রিত করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। প্রথমত, আমার বণ্যপরিচয় হইলেই এবং পড়িতে শিখিলেই তিনি এই নিয়ম করিয়াছিলেন যে, যেদিন আমার পাঠশালা বা স্কুল থাকিত না, সেইদিন দপারবেলা। তিনি আহারান্তে বিশ্রামার্থ শয়ন করিলে আমাকে কৃত্তিবাসের রামায়ণ পাঠ করিয়া তাঁহাকে শনাইতে হইত। যে সস্থানটি অধিক মিন্ট লাগিত, দিনের পর দিন বহবার তাহা পাঠ করাইতেন, এবং মাতা-পত্রে সে সস্থানটি মখস্থ আবত্তি করিতাম। তদবধি বহকাল আমি রামায়ণের অনেক সস্থল মখস্থ বলিতে পারিতাম। এই দীঘকাল পরেও রামায়ণের কোনো কোনো দশ্যের ছবি যেন আমার চক্ষের সম্মখে রহিয়াছে। এইরপে, ব্রাহমাধমের ভাব পাইবার পাবে, রামায়ণের ধম আমার ধ্যম ও রামায়ণের নীতি আমার নীতি ছিল। তখন রামায়ণের আদশ অপেক্ষা উচ্চতর আদশ আছে, ইহা কেহ বলিলে আমি সহ্য করিতে °ार्गद्धद्धाका क्रा ! দ্বিতীয়ত, মা যদি কখনো শনিতে পাইতেন যে, কেহ আমার সহিত এইরাপ তক উপস্থিত করিয়াছে যাহাতে ঈশবিরে ও পরকালে অবিশ্ববাস প্রকাশ পায়, তখন তিনি বাঘিনীর ন্যায় তাহার মধ্যে পড়িতেন, অতিশয় অসন্তোষ প্রকাশ * করিতেন ও সে তাক থামাইয়া দিবার চেন্টা করিতেন। এমন কি, আমার পিতাও যদি তাকৰ্ষস্থলে এমন কিছ বলিতেন, তাহাও মা সহ্য করিতেন না। বলিতেন, “আমার ছেলের মাথা খেও না।” এই কারণেই বোধহয় এই দীঘকালের মধ্যে একদিনের জন্যও আমার মনে ঈশবর ও পরকালের প্রতি অবিশ্ববাস জন্মে নাই। এমন দিন কি এমন ক্ষণ মনে হয় না, যখন আমি ঈশ্ববরের সত্তাতে অবিশ্ববাস করিয়াছি। আর একটি ভাব মাতার মধ্যে দেখিতে পাইতাম। কপটাচারী ব্যক্তিদের প্রতি আমার মা’র আন্তরিক ঘণা ছিল। যাহারা মাখে বড় কথা বলে। কিন্তু কাজে ছোট কাজ করে, যাহা মনের বিশবাসী নহে তাহা কাজে দেখায়, ভিতরে অসাধ থাকিয়া বাহিরে সাধিতার পরিচ্ছদ পরিধান করে, মা তাহদের নাম পর্যন্ত সহ্য করিতে পারিতেন না। কেহ তাহদের প্রশংসা করিলে তাঁহার গায়ে যেন তপত জলের ছড়া দিত। হয় উঠিয়া যাইতেন, নতুবা সে প্রশংসা থামাইয়া দিতেন, এবং বলিতেন, “বল না, বল না! ওর ধমের মাখে ছাই! ওর গেরিয়া কাপড়ের, ওর ভস্ম মাখার মাখে छाझे!” আর একটা এই দেখিতাম যে, যে কায তিনি একবার কতব্য বলিয়া অনভব করিতেন তাহা অতি দঢ়তার সহিত করিতেন, লোকের অন্যরাগ-বিরাগের প্রতি ՀԳ Ե