পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাতুলের হস্তে যখন নিবাসিতের বিলাপের প্রথম কয়েক পদ্ধত্তি সোমপ্রকাশে DD DD uDBD DBBDB S DBDB DDDDBDS BBBD DDD DBLB করিব। কিন্তু প্রথমবার কয়েক পংক্তি বাহির হইলে, তিনি কলেজে। আমাকে ডাকিয়া অতিশয় সন্তোষ প্রকাশ করিলেন, এবং আরও কবিতা আছে কি না জিজ্ঞাসা করিলেন। আমি অতিশয় উৎসাহিত হইয়া গেলাম। অমনি আরও লিখিতে বসিলাম । এইরপে সপ্তাহের পর সম্প্রস্তাহ সোমপ্রকাশে কবিতা প্রকাশিত হইতে লাগিল। কয়েকবার প্রকাশিত হইতে না হইতে চারিদিকে সমালোচনা উঠিয়া গেল। পথে ঘাটে, ভাড়াটে গাড়িতে লোকে বলিতে লাগিল, “এ শ্রীশিঃ’ কে হে?” আমার লাঙ্গলে স্ফীত হইয়া উঠিতে লাগিল। নিজের মনে-মনে মস্ত একটা কবি হইয়া দাঁড়াইলাম। বাস্তবিক তখন আমার কবিতার মধ্যে একটি নতনত্ব ছিল। ইহাতে ঈশবরচন্দ্র গস্তের বাঁধা মিত্রাক্ষর অথবা মাইকেলের খোলা অমিত্রাক্ষর ছিল না, কিন্তু দাইয়ের মধ্যস্থলে যাহা তাহাই ছিল। ভাবকে ছন্দের বশবতীর্ণ না করিয়া ছন্দকে ভাবের বশবতীর্ণ করা হইয়াছিল। প্রধানত এই জন্য ইহা তখন সকলের দন্টিকে আকর্ষণ করিয়াছিল। দ্বিতীয় বিৰাহ। আমি যখন কবিতারসে নিমগন আছি, তখন এক পারিবারিক দীঘটনা ঘটিল। কোনো বিশেষ কারণে আমার পিতা আমার পত্নী প্রসন্নময়ীর ও তাঁহার বাড়ির লোকের প্রতি কুপিত হইয়া তাঁহাকে পিতৃগহে পাঠাইয়া দিলেন। বলিলেন, তাঁহাকে আর আনিবেন না। তাঁহাকে একেবারে বাজন করা যখন সিনেথর হইল, তখন এই প্রশন উঠিল যে আমি তো একমাত্র পত্র সন্তান, বংশ রক্ষার উপায় কি হইবে ? অতএব আমার পনরায় বিবাহ দেওয়া স্থির হইল। আমার এরপ বয়স হইয়াছিল যে বহবিবাহকে মন্দ বলিয়া জানি। প্রসন্নময়ীর প্রতি তখন আমার যে বড় ভালোবাসা ছিল, তাহা নহে। তবে তাঁহার ও তাঁহার বাড়ির লোকের সামান্য অপরাধে তাঁহাকে গরতের সাজা দেওয়া হইতেছে, ইহা অনভব করিয়াছিলাম। আমি কিরাপে এইরাপ কঠিন ব্যবহারে সহায়তা করি, ইহা ভাবিয়া মন আন্দোলিত হইতে লাগিল। কিন্তু বাল্যাবধি পিতাকে এরপে ভয় করিতাম যে, তাঁহার ইচ্ছাতে বাধা দেওয়া আমার সাধ্যাতীত ছিল। তথাপি আমি নিজে ও জননীর দুবারা তাঁহাকে জানিতে দিয়াছিলাম যে এরপ বিবাহে আমার মত নাই। বাবা আমাকে বিবাহ দিতে লইয়া যাইবার জন্য আমাকে লাইতে ভবানীপরে মহেশচন্দ্র চৌধরিী মহাশয়ের ভবনে আসিলেন, এবং আমাকে লইয়া গেলেন। পথে আমাকে আমার দ্বিতীয়বার বিবাহের প্রয়োজনীয়তা বঝাইতে বঝাইতে চলিলেন। আমি তাঁহাকে বড় ভয় করিতাম, তাঁহার মাখের উপর কিছ বলিতে পারিতেছি না, সঙ্গে সঙ্গে চলিয়াছি। অবশেষে আমাদের গ্রামের দই ক্লোশ উত্তরবতী বারাসত ফলে এ-সাজা আমাদিগকেই পেতে হবে। আমার বোধ হয়। এরপ কাজ না করাই ভালো।” যেই এই কথা বলা, অমনি বাবা ফিরিয়া দাঁড়াইলেন, এবং নিজের পায়ের জতা হাতে লইয়া বলিতে লাগিলেন, “তুই এখান হতে ফিরে যা, আর এক পা তুলেছিস কি এই জােতা মারব।” আমি বলিলাম, “চলন, বাড়িতে গিয়ে মা’র সামনে কথা হবে। আমার বক্তব্য যা, তা আমি বললাম, তারপর করা না-করা আপনার হাত।” a