পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BBDDB BB DB DDuDBD BBB BBB S DDD DDD DDB DDBBSDS DDD হচ্ছে? আমার স্ত্রী ও শবশরিবাড়ির লোকেদের উপর রাগ করে একি করা হচ্ছে ?” মা বলিলেন, “জনিস তো, আমার কাঁধের উপর একটা বৈ মাথা নেই, আমি বাধা দিয়ে রাখতে পারব না, যা জানে কিরক।” বাবা আমাদের আপত্তির প্রতি দকপাতও করিলেন না। আমাকে ধরিয়া বিবাহ দিতে লইয়া গেলেন। এই দ্বিতীয় বিবাহ বর্ধমান জেলার দেপার নামক গ্রামের অভয়াচরণ চক্রবতীর জ্যেষ্ঠা কন্যা বিরাজসহিত হইল। বিবাহটা ১৮৬৫ কি ১৮৬৬ কোন সালে হইয়াছিল, ঠিক NR - দ্বিতীয় বিবাহের পরিণাম। এই বিবাহের পরেই আমার মনে দারণ অনন্তাপ উপস্থিত হইল। একটি নিরপরাধা সন্ত্রীলোককে অন্যায়রপে গারতের সাজা দেওয়া হইল, এবং আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেই অন্যায় কায্যের প্রধান পরিষ হইলাম, ইহা ভাবিয়া লােজা ও দঃখে অভিভূত হইয়া পড়িলাম। পিতার আদেশে বিবাহ করিতে যাইবার পাবে আমি এই ভাবিয়া মনকে প্রস্তুত করিয়াছিলাম যে, রামচন্দ্র পিতৃ-আজ্ঞা পালনার্থ চতুৰ্দশ বিষ বনবাস করিয়া কমন্ট পাইয়াছিলেন, আমি না হয়। পিতৃ-আজ্ঞা পালন করিয়া চিরকাল কন্ট পাইব। কিন্তু এই অনাতাপের মহতে সে চিন্তা আর আমাকে বল দিতে পারিল না। আমি মনে করিতে লাগিলাম, মানষ আপনার কাজের জন্য আপনিই দায়ী, হাজার গরের আদেশ হইলেও পাপের অংশ কেহ লয় না। আত্মনিলন্দাতে আমার মন অধীর হইয়া উঠিল। সে তীব্র আত্মনিন্দার কথা মনে হইলেও এখন শরীর কম্পিত হয়। আমি আমাদে উপহাস-রসিক বন্ধতাপ্রিয় মানষ ছিলাম, আমার হাস্য পরিহাস কোথায় উবিয়া গেল। আমি ঘন বিষাদে নিমগন হইলাম। পা ফেলিবার সময় মনে হইত যেন কোনো নিচের গতে পা ফেলিতে যাইতেছি। রান্ত্রি আসিলে মনে হইত। আর প্রভাত না হইলে ভালো হয় { এই অবস্থাতে আমি ঈশবরের শরণাপন্ন হইলাম। আমি ঈশবরে অবিশবাস কখনো করি নাই। আমার সমরণ আছে, এই সময়ে আমার পিতা আমার নিকট অনেক সময় সংস্কৃত নাস্তিক দর্শনের রীতি অবলম্বনে নাস্তিকতা প্রচার করিতেন। বলিতেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় আস্তিক নহেন, ইত্যাদি। ইহা লইয়া পিতা-মাতাতে কখনো কখনো ঝগড়া হইয়াছে দেখিয়াছি। বাবার সঙ্গে এরপ বিচারে প্রবত্ত আছি দেখিলে, মা বাবার প্রতি রাগ করিয়া আসিয়া আমার হাত ধরিয়া তুলিয়া লইয়া যাইতেন। বলিতেন, “রাখ, রাখি, তোমার নাস্তিক দশন রাখ, ছেলের মাথা খেও না।” কিন্তু নাস্তিকতা আমার মনে ভালো লাগিতা না, মনে বসিত না। আমি বালককাল হইতে পাড়ার সমবয়স্ক বালকদিগের সহিত সন্টি ও সন্টিকতা বিষয়ে আলোচনা করিতে ভালোবাসিতাম। কিন্তু ইতিপবে আমি ঈশ্ববরের সহিত আত্মার সম্পবিন্ধ বিষয়ে কখনো গরতের রাপে চিন্তা করি নাই। ঈশবর চরণে প্রার্থনার অভ্যাস ছিল না। এই মানসিক গলানির অবস্থাতে তাহা করিতে আরম্ভ করিলাম। এই সময়ে ভক্তিভাজন উমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় আমার মানসিক অবসাদের কথা লইয়া আমাকে একখানি থিওডোর পাকারের ‘টেন সারমনস এ্যান্ড প্রেয়াস’ পাঠাইয়া দিলেন। পাকারের প্রার্থনাগলি যেন আমার চিত্তে নবজীবন আনিল। আমি প্রতিদিন রাত্রে শয়নের পাবে একখানি খাতাতে একটি প্রার্থনা লিখিয়া পাঠ করিয়া শয়ন করিতে লাগিলাম। কেবল তাহাই নহে, দিনের মধ্যে প্রত্যেক দশ পনরো মিনিট অন্তর 。曾甘