পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by শিবনাথ শাস্ত্রার আত্মচারিত [ ৪র্থ পরিঃ অনুরাগী হইয়া ব্রাহ্মধর্ম্ম অনুসারে অনুষ্ঠানাদি করিতে অগ্রসর হইয়াছিলেন। সেজন্য গ্রামে মহা আন্দোলন ও এই যুবকদিগের প্রতি মহা নির্য্যাতন উপস্থিত হয়। সেই নির্য্যাতনের মধ্যে ইহঁরা বীরের ন্যায় দণ্ডায়মান ছিলেন। সেজন্য আমরা গ্রামবাসী যুবকগণ মনে মনে ইহঁাদিগকে অতিশয় শ্রদ্ধা করিতাম । ব্রাহ্মদিগের সাহায্যে মজিলপুরে বালিকাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। — ১৮৫৯ সালে আমাদের গ্রাম-প্রবাসী টাকীনিবাসী ডাক্তার প্রিয়নাথ রায় চৌধুরীর যত্নে ও ব্রাহ্মদিগের সাহায্যে এক বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ামাত্র আমার মা আমার ভগিনী দিগকে তাহাতে প্রেরণ করিয়াছিলেন। প্রিয়ানাথবাবু গ্রাম হইতে চলিয়া গেলে, স্কুলটি রক্ষার ভার ব্রাহ্ম যুবকগণের উপরে পড়িল । জমিদারের অসন্তোষ ও বিরুদ্ধাচরণ -কিন্তু ইহার কিছুকাল পরে যখন উমেশচন্দ্র দত্ত, হরনাথ বসু ও কালীনাথ দত্ত প্রভৃতি ব্রাহ্ম যুবকগণ মোরসী পাট্টাতে খাজনা করিয়া একটু জমি লইলেন, এবং তাহাতে • স্কুলের জন্য একটি ঘর নির্ম্মাণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, তখন জমিদারবাবুরা তাহার বিরোধী হইয়া দাড়াইলেন, এবং বিধিমতে সে কার্য্যে বাধা দিতে লাগিলেন। ব্রাহ্ম যুবকগণ স্কুল-ঘর নির্ম্মাণের জন্য শত্রুতি করিয়া সুন্দরবনের ভিতর হইতে খুটি ও বেড়ার হেঁতাল প্রভৃ৩ আনাইলেন। গ্রামের পূর্বপাশ্বে খালের মধ্যে শালতি আসিয়া দাড়াইল। ব্রাহ্ম যুবকগণ" সংবাদ পাইয়া খুটি প্রভৃতি আনিতে গেলেন। গিয়া দেখেন, চারিদিকের শ্রমজীবী লোকের প্রতি জমিদার-বাবুদের হুকুম গিয়াছে যে, খুটি প্রভৃতি কেহ বহিয়া দিবে না । তঁহারা অনেক অনুসন্ধান করিয়া এবং প্রলোভন দেখাইয়াও মুটে মজুর পাইলেন না। অবশেষে কালীনাথ দত্ত, হরনাথ বসু প্রভৃতি কঁাধে করিয়া খুটি প্রভৃতি বহিয়া স্কুলের জমিতে লইয়া যাইতে লিাগলেন। গ্রামের লোকে দেখিয়া আশ্চর্য্যান্বিত হইতে লাগিল এবং