পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

di R8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৫ম পরিঃ আমার হৃদয় হইতে কে যেন দশ মণ বোঝা নামাইয়া লইল। আমি হাঁপ ছাড়িয়া বাঁচিলাম। তাঁহাকে বলিলাম, “আমার বাবাকে এই কথা লিখুন।” . . . . তিনি বাবাকে লিখিলেন যে সে-প্রকার অনুরোধ তীহার দ্বারা হইতে পারে না । আমি তাহদের সাহায্য করিতে বাধ্য। গুরুতর শ্রম।-যোগেনদের বিবাহের পর তাহদের জন্য আমার গুরুতর শ্রম আরম্ভ হইল। এই পরিশ্রমের মধ্যে একবার আমি কয়েক দিন বিশ্রাম করিবার জন্য যোগেন ও মহালক্ষ্মীর নিকট বিদায় লইয়া মাতুলালয়ে গেলাম। দুই তিন দিন মাতুলালয়ে মাতামহীর ক্রোড়ে আছি, এমন সময় একদিন রাত্রি দশটার সময় ঈশ্নানের এক জরুরি টেলিগ্রাম পাইলাম, “এখানে তােমার উপস্থিতি একান্ত প্রয়ােজন, অবিলম্বে এস।” তখন কি করি! রেলওয়ে ষ্টেশন মাতুলালয় হইতে দুই তিন মাইল দূরে। মাঠ দিয়া ষ্টেশনে যাইতে হয় ; কিন্তু তখন সমুদয় মাঠ। জলে প্লাবিত, পথ পাওয়া দুষ্কর। মাতামহী ঠাকুরাণী ও মামীম বারণ করিতে লাগিলেন ; আমি মহা চিন্তার মধ্যে পড়িলাম। কিন্তু বড়মামা বলিলেন, “জরুরি টেলিগ্রাম যখন করিয়াছে, তখন নিশ্চয় স্কোমও বিপদ ঘটিয়াছে, তুমি যাও। রাত্রি-শেষে ৩টা কি ৩০ টার সময় একটা ট্রেন আছে, সেই ট্রেনে যাও।” আমি তঁাহার উপদেশে সেই রাত্রেই যাত্রা করিলাম। তিনি আমার সঙ্গে এক চাকর ও লণ্ঠন দিলেন। আমি জল ভাঙ্গিয় কোন প্রকারে রাত্রি ১২ টার সময় ষ্টেশনে পৌছিলাম, এবং সমস্ত রাত্রি জাগিয়া কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম। আসিয়া শুনি, আমি মাতুলালয়ে গেলে তৎপর দিন যোগেনের মা হঠাৎ কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন ; যোগেনকে তঁহার আত্মীয়া” গণ ধরিয়া লইয়া গিয়াছেন, ও গত কলা প্রাতঃকাল হইতে কোনও না কোনও ছলে তাহাকে আটকাইয়া রাখিয়াছেন। সকলে মিলিয়া, এই স্ত্রীকে