পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 9 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৫ম পরিঃ ঈশান ও যোগেনের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস —ফলতঃ, এই কালকে যে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কাল বলিয়াছি, তাহার কারণ এই, এইকালের মধ্যে আমার অন্তরে ধর্ম্মভাব ও ব্যাকুলত পূর্ণমাত্রাতে কাজ করিতেছিল, অপরদিকে বন্ধুদের গ্রীতি ও শ্রদ্ধা পূর্ণমাত্রাতে ভোগ করিতেছিলাম। বস্তুতঃ, আমার প্রতি ঈশান ও যোগেনের প্রীতি শ্রদ্ধা বিশ্বাস ও নির্ভরের যেন সীমা ছিল না । লিখিতে লিখিতে একটা কথা মনে হইতেছে, তাহা ইহার অনেক পরের ঘটনা। তখন ঈশান বোধ হয়। লক্ষ্মেী এর বলরামপুর হ্রাসপাতালে কর্ম্ম করিতেন। সেই সময় একবার ছুটী লইয়া আসিয়া কলিকাতাতে ছিলেন। একদিন সন্ধ্যার পর আমি তাহাদিগকে দেখিতে গেলে, তিনি আমাকে আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন ; আর বাড়ীতে আসিতে দিলেন না । ‘বলিলেন, “আমার পরিবার, সম্বন্ধে অনেক কথা আছে, তুমি থাক।” এই বলিয়া তাহার পত্নীর বিরুদ্ধে আমার কাণে অনেক কথা ঢালিলেন। বলিলেন, “আমি আমার স্ত্রীকে অনেক বুঝাইয়াছি, কোনও ফল হয় নাই, তুমি একবার বোঝাও।” আমি বলিলাম, “তোমার কথাতে কাজ হয় নাই, আমার কথাতে কি হবে ?” তিনি বলিলেন, “তোমাকে বড় ভালবাসে ও শ্রদ্ধা করে, তোমার কথাতে ওর উপকার হতে পারে।” আমি অগত্যা "ভূত্যের দ্বারা প্রসন্নময়ীকে সংবাদ দিয়া সে রাত্রি সেখানে যাপন করিলাম। শয়নকালে গিয়া দেখি, ঈশার্নের শয়নঘরে এক স্বতন্ত্র খাটে আমার শয়নের বন্দোবন্ত । শয়নকালে তঁহার পত্নী ঘরে আসিলে, তিনি বলিলেন, “আমার কাছে আজ তোমার শুইয়া কাজ নাই, তুমি শিবনাথের কাছে গিয়া শোও ; ও তোমাকে কিছু কথা বলিবে। আমি ঘুমাই, তুমি কথা শোন।” আমি হাসিয়া বলিলাম, “তোমার অদ্ভুত কথা, আমার কাছে শোবে কি রকম ?” তিনি সেকথা গ্রাহ্য করিলেন না, পাশ ফিরিয়া শুইয়া অকাতরে নিদ্রা গেলেন। আমি অনেকক্ষণ র্তাহার স্ত্রীর সহিত র্তাহাদের