পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬৮-৬৯ ] বিরাজমোহিনীকে পুনৰ্বিবাহ দিবার প্রস্তাব १७२१ দাম্পত্য বিবাদ বিষয়ে কথাবার্তা কহিলাম। তৎপরে তিনি অন্য ঘরে ছেলেদের নিকট শয়ন করিতে গেলেন। আমিও নিদ্রা গেলাম। : বন্ধুদের এই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও গ্রীতির বিষয় যখন স্মরণ করি, তখন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ করি। কারণ ইহাদের সম্ভাব चौडिल शब्रां स्राभांश হৃদয় মনের অনেক উপকার হইয়াছিল। দ্বতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনীকে পুনরায় বিবাহ দিবার প্রস্তাব -এই সময় আমার মাথায় যত রকম আজগুবি মৎলব আসিত, ভারত-উদ্ধারের যত রকম খেয়াল ঘুরিত, সকলের উৎসাহদায়িনী ছিলেন মহালক্ষ্মী। এ জীবনে আমার অনেক চেলা জুটিয়াছে; কিন্তু মহালক্ষ্মীর মত চেলা অল্পই, জুটিয়াছে । এই সময়ে জন ষ্টুয়ার্ট মিলের গ্রন্থ পড়িয়া যোগেন কিছুদিনের জন্য নাস্তিক হইয়া উঠিয়াছিলেন। তাহা লইয়া আমার সঙ্গে রোজ তর্ক ও ঝগড়া চলিত। আমি তাহাকে আস্তিক করিবার চেষ্টা করিতাম, কিন্তু ঝগড়ার ফল। এই হইত। যে তিনি আরও দৃঢ়তার সহিত নাস্তিকতা প্রচার করিতেন। তিনি হাসিয়া আমাকে বলিতেন, “স্ত্রীচীকে তো চেলা করিয়া লইয়াছ, যত পার ধর্ম্ম তাহাকে ভজাও ; আমাকে ছাড় না !” আমি যোগেনকে না পারিয়া মহালক্ষ্মীকেই ভজাইতাম। দুজনে প্রতিদিন ব্রহ্মোপাসনা করিতাম। : আমরা তিনটী প্রাণী এমনি “রিফর্ম্মার” হইয়া উঠিয়াছিলাম যে, আমরা তিনজনে পরামর্শ করিয়াছিলাম ম্নে আমার দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনীকে আনিয়া পুনরায় তাহার বিবাহ দিল। তখনও আমি বিয়াজমোহিনীকে পত্নীভাবে গ্রহণ করি নাই। এই ১৮৬৮ সালে আমি একবার র্তাহাকে আনিতে যাই। তখন তিনি ১১।১২ বৎসরের বালিকা। বোধ হয় আমার পিতা-মাতােব পরামর্শ ভিন্ন আনিতে গিয়াছিলাম বলিয়া ঠাহার পাঠাইলেন না। যাহাকে বিবাহ দিব ভাবিতেছি, তাহাকে পত্নীভ্যু গ্রহণ করা কর্তব্য নয় বলিয়া তাহাকে পত্নীভাবে গ্রহণ করিতাম না।