পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ প্রথম শেষ ভাগে আমার স্ববংশীয় বাহ্মণগণের মধ্যে এক সময়ে একই গ্রামে ১০১২ খানি টোল 5. ছিল। তন্মধ্যে আমার প্রপিতামহ স্বৰ্গীয় রামজয় ন্যায়ালঙ্কার মহাশয়ের একখানি। ইনি একশত তিন বৎসর বয়স পর্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। ইহাকে আমি ১০ । ১২ বৎসর বয়স পর্যন্ত দেখিয়াছি। দ্বিতীয় পবিচ্ছেদে আমার বালা জীবনেল বর্ণনাপ্রসঙ্গে ইহার কথা অনেক বলিতে হইবে । পিতামহী ।--আমার পিতামহ মহাশয় স্বগ্রামেই কাগ্রায়ণ গোত্রীয় ব্রাহ্মণদিগের গৃহে বিবাহ কবিয়াছিলেন। এই কাগ্রায়ণ বংশীয়গণ বড় হস্কৃত ও তেজী মানুষ ছিলেন। আমার পিতামহী ঠাকুরাণী লক্ষ্মীদেবী সেই বংশের কন্যা । তিনিও অতিশয় তেজস্বিনী নালী ছিলেন । আমাদের গৃহে এরূপ প্রবাদ আছে যে, তাহার ঘরে একবার চােব ঢুকিয়া নিদ্রিতাবস্থায় তাহার কণ্ঠ” শী হইতে কণ্ঠভবণ হরণ করিবার চেষ্টা করিতেছিল ; তিনি হঠাৎ জাগ্রত হইয়া এরূপ বলের সহিত চোবের হাত ধবিলেন, যে, তাহার হস্ত হইতে নিস্কৃতি পাওয়া তার পক্ষে কঠিন হইয়া দাড়াইল। অনেক টানাটানিব পৰা চোব কোনও মতে নিস্কৃতি আর-একটি গল্প ইহা অপেক্ষাও অধিক সাঙ্গস ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের রচায়ক। সেটি এই । সেকালে আমাদের গ্রামে শীতকালে মধ্যে মধ্যে বাঘ দেখা দিত। গ্রামটি সুন্দরবনের মধ্যেই বলিলে হয়। কয়েক ক্রোশের মধ্যে আকাট জঙ্গল ছিল। গ্রামেব চতুষ্পার্শেও বন-জঙ্গল যথেষ্ট ছিল। সুতরাং বাঘের আসা কিছুই বিচিত্র ছিল না । এই কারণে এই নিয়ম প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল, যে, একশাপা ঠুক্ত চারি পাঁচ পরিবার একত্র বাস কবিয়া সমগ্র পাড়াটা এক বড় প্রাচীর দিয়া ঘিরিয়া বাথিত ; সম্মুখের দ্বার এক, খিড়কীর দ্বার ভৃিন্ন ভিন্ন। এই বন্দােবস্তে কাজ-কর্ম্ম চলিত। আমাদের কয়েক ঘর জ্ঞাতির সহিত আমাদের বাড়ীটী এইরূপ