পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গে বড় মিশিতাম না । মধ্যে মধ্যে রবিবারে প্রাতে কেশববাবুর কলুটােলার বাড়ীর্তে উপাসনাতে যোগ দিতে যাইতাম । কিন্তু কীর্ত্তনের সময় ব্রাহ্মদিগের অনেকে গড়াগড়ি দিতেন, নানাপ্রকার চীৎকার করিতেন, ও পরস্পরে পা ধরাধরি করিতেন, কেশববাবুর পায়ে পড়িতেন, এজন্য ভাল করিয়া উপাসনাতে যোগ দিবার ব্যাঘাত হইত ; সেই কারণে সর্ব্বদা যাইতাম না, মধ্যে মধ্যে যাইতাম মাত্র } নরপুজার আন্দোলন -এই ১৮৬৮ সালের অক্টোবর মাসে মুঙ্গের হইতে ব্রাহ্মসমাজে নর-পূজার আন্দোলন উঠে। আমাদের বন্ধুদ্ধয় বাবু। যদুনাথ চক্রবর্ত্তী ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী সংবাদপত্রে প্রচার করিয়া দেন যে, ব্রাহ্মেরা কেশববাবুকে “প্রভু ত্রাণকর্ত্ত” প্রভৃতি বলিয়া সম্বোধন করিতেছেন, তাহার চরণে ধরিয়া পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনা করিতেছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। ইহা লইয়া দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হয়, এবং যদুনাথ চক্রবর্ত্তী ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী কেশবের দলকে পরিত্যাগ কবিয়া যান। গোঁসাইজী নিজের শান্তিপুরের বাটীতে গিয়া চিকিৎসা কার্য্য আরম্ভ করিলেন.। আমার স্মরণ হয়, আমি এই বৎসরের মধ্যে শান্তিপুরে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলাম। পূর্বেই বলিয়াছি, তিনি আমার সহাধ্যায়ী ; তাহার মুখে সমুদয় শ্রবণ করা উদ্দেশ্য ছিল। | আমার স্মরণ আছে, উন্নতিশীল দলুে এই বিবাদ বাধাতে আমি মর্ম্মান্তিক দুঃখিত হইয়াছিলাম। ইহাতে কেশববাবু হইতে আমার চিত্ত বিচ্ছিন্ন হয় নাই ; তাহাদিগকে নরপুজা অপরাধে অপরাধী বলিয়া বিশ্বাস জন্মে নাই ; ব্রাহ্মদিগের আচরণকে কেবলমাত্র ভক্তিপ্রকাশের আতিশয্য বলিয়াই মনে হইয়াছিল। কিন্তু কেশববাবুর পত্রিকাতে প্রতিবাদকাৰীদেৰ কথার উত্তর যে ভাবে দেওয়া হইয়াছিল, তাহাদিগ লীক চক্ষে হীন করিবার জন্য যেরূপ প্রয়াস পাওয়া হইয়াছিল, তাহা