পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&', ' ') একমাস বাড়ীতে আবদ্ধ থাকা Sty অগ্রসর হইয়া চল ।” আমি তখন আমার পত্রে পিতাকে এই কথা লিখিয়াছিলাম ; তিনি পড়িয়া নিশ্চয়ই হাসিয়া থাকিবেন । আমি উপবীত ফেলিয়া দিলাম, কিরূপে বাধ্য হইয়া একাজ করিলাম, তাহা পিতাঠাকুর মহাশয়কে লিখিলাম। তিনি সে পত্র আমার মাতুলের নিকট পাঠাইয়া দিয়া আমাকে ডাকাইয়া কথা কহিতে অনুরোধ করিলেন। , মাতুল মহাশয় আমাকে তঁহার বাড়ীতে ডাকাইয়া, সাধারণ ভাবে আমার সহিত উপবীত ত্যাগ সম্বন্ধে ও ধর্ম্মভাব সম্বন্ধে তর্ক করিলেন। এই স্থানে বলা কর্ত্তব্য, আমার মাতুল অতিশয় ধর্ম্মভীরু ও উদারচেতা মানুষ ছিলেন, কাহারও ধর্ম্মভাবের উপরে হাত দেওয়া র্তাহার প্রকৃতিবিরুদ্ধ ছিল। তিনি রাগ উষ্মা প্রভৃতি কিছুই করিলেন না ; বন্ধুতে বন্ধুতে যেরূপ কথাবার্ত্ত হয়, সেইরূপ সৌজন্যের সহিত আমার সঙ্গে কথা কহিলেন। পরে আমি চলিয়া আসিলে আমার পিতাকে লিখিলেন, “মানুষের অনেক প্রকার অন্ধত হইয়া থাকে, তন্মধ্যে ধর্ম্মান্ধতাও একপ্রকার। ইহার ধর্ম্মান্ধত হইয়াছে, বলপ্রয়োগে যে কিছু হইবে এরূপ মনে হয় না।” আমি পিতার ফাইল হইতে সে পত্র পরে দেখিয়াছি। একমাস বাড়ীতে আবদ্ধ থাকা৷ -কিন্তু পিতাঠাকুর মাতুলের পরামর্শ শুনিলেন না । কলিকাতায় আসিয়া আমাকে ধরিয়া লইয়া গেলেন, এবং প্রায় একমাস কােল আমাকে একপ্রকার নজরবন্দী করিয়া ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন। ব্রাহ্মণের ছেলের পক্ষে উপবীত ত্যাগ তখন তৎপ্রদেশে নূতন কথা, কেহ কখনও শোনে নাই। সুতরাং এই সংবাদে সমুদয় গ্রামের লোক ভাঙ্গিয়া পড়িল। এমন কি, দুই চারি ক্রোশ দূর গ্রামের চাষার মেয়েরা পর্যন্ত আমাকে দেখিতে আসিতে লাগিল। তাহারা তখন আমার বিষয়ে কি ভাবিত, তাহা ভাবিলে এখন হাসি পায়। একদিন প্রাতে বসিয়া পড়িতেছি, এমন সময় কয়েকটী চাষার মেয়ে আসিয়া দাড়াইল । তাহাদের নিঃশ্বাস পড়ে কি না পড়ে, δο .