পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেশবচন্দ্রের মতের সমালোচনা ২১৩ ! שי-8ףשל এই কার্য্যের বিচারের জন্য কেশব বাবুকে সভা আহবানের অনুরোধ যে, প্রচারকগণ ঈশ্বর-নিযুক্ত ; ব্রাহ্মগণ র্তাহাদের বিচারক হইতে পারেন না। ইহাতে সমাজের কার্য্যপ্রণালী ও শাসন সম্বন্ধে এক নূতন আন্দোলন 越危列 外f河1 দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী-প্রমুখ দল এই আন্দোলনে যোগ দিলেন। আমি ভবানীপুরে আসিয়া দেখিলাম, কেশব বাবুর মত ও কার্য্যের প্রতিবাদ করিবার জন্য একটী দল গড়িয়া উঠিয়াছে। আমি আসিবামাত্র। ইহঁরা আমাকে আপনাদের মধ্যে লইলেন ; কারণ, সমাজের কার্য্যে নিয়মতন্ত্র প্রণালী স্থাপন বিষয়ে এবং কেশব বাবুর কোনও কোনও মতের প্রতিবাদ বিষয়ে, ইহঁদের সহিত পূর্ব হইতে আমার মতের ঐক্য ছিল । কেশবচন্দ্রের মতের সমালোচনা ।-ইহার পর আমার ভবনে এবং অপরাপর স্থানে এই প্রতিবাদী দলের ঘন ঘন মাটিং হইতে লাগিল। অবশেষে ব্রাহ্মদিগকে সতর্ক করিবার জন্য সমর ঘোষণা করা স্থির হইল। এই সমর ঘোষণা দুই প্রকারে আরম্ভ হইল। প্রথমে কলিকাতা ট্রেনিং-একাডেমী নামক স্কুলের গৃহে কেশববাবুর বিরুদ্ধে দুইটী বক্তৃত হইল। একটি আমি দিলাম, অপরটা আমার বন্ধু নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় দিলেন। । আমার বক্তৃতার সমুদয় কথা স্মরণ নাই। আমি প্রধানতঃ কেশববাবু কতকগুলি মতের সমালোচনা করিয়াছিলাম। সে সম্বন্ধে এইমাত্র স্মরণ আছে যে রবিবাসরীয় মিরারে কেশববাবু তাহার উল্লেখ করিয়া তাহার | উদার ভাবের প্রশংসা করিয়াছিলেন। কিন্তু নগেন্দ্রবাবুর বক্তৃত । তাহাদের বড়ই অপ্রীতিকর হইল। নগেন্দ্র বাবু সমাজের কার্য্যে | নিয়মতীৰ প্রণালীর আবিস্তকতা প্রদর্শন করিতে গিয়া , বলিয়াছিলেন