পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so o শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৩শ পরিঃ তাহার সামান্য বেশ ও সবিনয় ব্যবহারের কথা স্মরণ করিয়া ভাবিতে লাগিলাম, শিক্ষিত বাঙ্গালী পদস্থ লোক ও বোম্বাইয়ের পদস্থ লোকে কত প্রভেদ । বাঙ্গালী পদস্থ লোকেরা হাব ভাব পোষাক পরিচ্ছদে বড়লোক হইয়া পড়েন এবং অনেক ব্যয় করেন। বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর ভদ্র ও পদস্থ লোকেরা পোষাক-পরিচ্ছদের প্রতি তত দৃষ্টি রাখেন না। ইক্ষা একটী চিন্তা করিবার মত কথা । এই প্রসঙ্গে স্মরণ হইতেছে যে, আমি পরে একবার প্রচারে গিয়া ( ১৮৮৪ সালের ৬ই ডিসেম্বর হইতে কয়েকদিন) পুণা নগরে এই মহাদেব গোবিন্দ রাণান্ডে মহাশয়ের ভবনে অতিথি হইয়াছিলাম। এখানেই তাহার বর্ণনা করিতেছি । সেবারেও রাণান্ডে মহাশয়ের দৈনিক জীবন দেখিয়া আমি মুগ্ধ হইয়াছিলাম। তিনি বোধ হয় তখন পুণার স্মল কচু কোর্টের জর্জ । এরূপ পদস্থ একজন বাঙ্গালী ভদ্রলোক হইলে তাহার ভবনে কি বাহা বিলাসের প্রাচুর্ভাব দেখিতাম ! জুড়ি, গাড়ি, পােষাক, পরিচ্ছদ, দাস দাসীর ধূম দেখিতাম। কিন্তু রাণান্ডের ভবনে তাঙ্গার কিছুই দেখিলাম না । তিনি কোর্ট হইতে আসিয়াই রাজকীয় পরিচ্ছদ ত্যাগ করিয়া তাহার মারহাট লালপোড়ে ধুতি, বেনিয়ান ও লালপেড়ে চাদং ও চটি পরিয়া আমার সহিত বহিস্ৰমণে বাহির হইতেন। ফিরিয়া আসিয়া একটা কাঠের দোলার উপরে বসিতেন। তাঁহার প্রাইভেট সেক্রেটারি সংবাদপত্র সকল লইয়া মাটিতেই বসিতেন, বসিয়া এক এক খানি কাগজ লইয়া পড়িতে আরম্ভ করিতেন ; এক এক পারাগ্রাফের দুই পংক্তি ড়িলেই রাণান্ডে মহাশয় আর পড়িতে হইবে কি না জানাহঁতেন; তৎপরে আবশ্যক হইলে আরও পড়া হইত, নতুবা সে প্যারা ত্যাগ করা হইত। পড়িতে পড়িতে কোন কাগজে কি টেলিগ্রাম করিতে বা পৰ লিখিতে হইবে, তাহা মুখে মুখে লেখাইয়া দেওয়া হইত। এইরূপে এ” দু ইঘণ্টা আড়াই ঘণ্টা যাইত, তৎপরে আহারার্থ যাওয়া হইত। এটি laid