পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ww• ] মতিহারীতে বেদের অভ্রান্তত বিষয়ে বিচার &S আসিয়া উপস্থিত। বিচারস্থলে মানুষ ধরে না। আবার সেই পূর্ব্বদিনের তর্ক উঠিল। আমি ছিনাজোঁকের মত আমার আসল কথাটা ধরিয়া আছি, —“অভ্রান্ত টীকাকার না দিলে অভ্রান্ত শাস্ত্র দেওয়া বৃথা৷” ; ইহা হইতে আর নড়ি না। তাহারাও আর ইহার জবাব দিয়া উঠিতে পারেন না ; তর্কের ডালপালা বিস্তার করেন মাত্র। খুব তর্ক বাধিয়াছে, এমন সময় একদল হিন্দু সন্ন্যাসী আসিয়া উপস্থিত। র্তাহারা তীর্থদর্শন করিয়া হিমালয় হইতে বারাণসী অভিমুখে যাইতেছেন। সহরে আসিয়া শুনিয়াছেন, অমুক স্থানে পণ্ডিতে পণ্ডিতে মহা বিচার উপস্থিত ; তাই কৌতুহলবশতঃ আকৃষ্ট হইয়া আসিয়াছেন । এই সন্ন্যাসীদলের নেতার নাম ফণীন্দ্র যতি।। দেখিলাম, মানুষটি বুদ্ধিমান ও সংস্কৃতজ্ঞ। আমি তাঁহাকে পাইয়৷ আনন্দিত হইলাম। তখন তঁহাতে ও আমাতে বিচার চলিল। এই স্থির হইল যে, আমাদের দলের অপর কেহ প্রশ্ন করিলে তিনি উত্তর দিকেন না ; তাহাদের দলের অপর কেহ প্রশ্ন করিলে আমি উত্তর দিব না ; প্রশ্ন করিতে হইলে আমার বা তার দ্বারা করিতে হইবে ; একজনের বক্তব্য শেষ না হইলে অপারে কথা কহিবেন না । অতঃপর বিচারটা ধীরে ধীরে চলিল। সেদিনও শেষ হইল না । স্থির হইল যে পরদিন স্কুলের মাঠে সন্ধ্যার সময় বিচার ३३tद। তৎপরদিন আবার সকল সম্প্রদায়ের লোক স্কুলের মাঠে সমবেত ইহঁল । চন্দ্রালোকে ঘাসের উপর বসিয়া বিচার চলিল। এরূপ বিচারে কি কিছু স্থির হয় ? উভয় পক্ষের কেহই ছাড়িবার নহে। অবশেষে রাত্রি ১১টার সময় অভ্রান্ত-শাস্ত্র-পক্ষীয়েরা “স্বামীজীক জয়, স্বামীজীকী জয়” করিয়া চেচাইয়া উঠিল । তাহাতে আমার দলের কে একজন বলিয়া উঠিলেন, “কুত্তোকো ভোক্‌নে দেও৷ ” এই কথা স্বামীর দলের লোকের কর্ণগোচর হইবামাত্র তাহারা লাঠি সোটা লক্ট্রয় মারিতে উষ্ম ৩। তখন **ীন্দ্র যতি ও আমি মাঝখানে পড়িয়া থামাইয়া দিলাম। ইহার পর